Advertisement

Basanti Durga Puja 2023: শুভ যোগে বাসন্তী পুজোর সপ্তমী-অষ্টমী-নবমী, ইচ্ছা পূরণে কাল থেকে ৩ দিন করুণ এই প্রতিকার

Chaitra Navratri 2023 Upay: চৈত্র নবরাত্রিতেই বাংলায় বাসন্তী পুজো হয়ে থাকে। এবার মা কালরাত্রির ২৮ মার্চ, মহাগৌরীর ২৯ মার্চ এবং মা সিদ্ধিদাত্রীর ৩০ মার্চ পুজো হবে। এর পাশাপাশি এই তিন দিনে অনেক শুভ যোগ তৈরি হচ্ছে, যার কারণে এই তিথির গুরুত্বও বেড়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্রে বাসন্তী পুজোর সপ্তমী তিথি, অষ্টমী তিথি এবং নবমী তিথির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে কিছু ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। এই সব ব্যবস্থা করলে দেবী মা সব ইচ্ছা পূরণ করবেন।

চৈত্র নবরাত্রিতেই বাংলায় বাসন্তী পুজো হয়ে থাকেচৈত্র নবরাত্রিতেই বাংলায় বাসন্তী পুজো হয়ে থাকে
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 27 Mar 2023,
  • अपडेटेड 3:34 PM IST

Basanti Durga Puja Upay: শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে চৈত্র নবরাত্রি। চৈত্র নবরাত্রির সপ্তমী তিথিতে মা দুর্গার সপ্তম শক্তি  কালরাত্রি, অষ্টমী তিথিতে মহাগৌরী এবং নবমী তিথিতে মা সিদ্ধিদাত্রীর পgpa করা হয়। মা দুর্গার এই তিনটি শক্তি সকল দুঃখ দূর করে সুখ ও সমৃদ্ধি প্রদান করে বলে মনে করা হয়। এবার এই তিথিতে খুব শুভ যোগও তৈরি হচ্ছে। সপ্তমী তিথিতে রাজ যোগ, অষ্টমী তিথিতে রবি যোগ এবং নবরাত্রির শেষ দিনে গুরু পুষ্য যোগের পাশাপাশি অমৃত সিদ্ধি যোগের সুফলও পাওয়া যাবে। এই শুভ যোগের সঙ্গে সঙ্গে নবরাত্রির তিনটি তিথির গুরুত্বও বেড়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্রে নবরাত্রির মহিমা বর্ণনা করে এই তিনটি তিথির কিছু প্রতিকারও বলা হয়েছে। এই সমস্ত ব্যবস্থা করলে জীবনের সমস্ত ঝামেলা দূর হয় এবং মা দুর্গা মনের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই তিন তারিখে করণীয় সম্পর্কে...

আসলে হিন্দুদের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব নবরাত্রি।  তার মধ্যে চৈত্র মাসের নবরাত্রি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। কারণ, গোড়া থেকে এই সময়টাতেই হিন্দুদের মধ্যে নবরাত্রি পালন এবং চণ্ডী আরাধনার রীতি রয়েছে। দ্বিতীয় নবরাত্রি পালিত হয় আশ্বিন মাসে দেবী চণ্ডীর পুজোর সময়। আর, তৃতীয় নবরাত্রিটি হল গুপ্ত নবরাত্রি। এর মধ্যে শরৎকালে বা আশ্বিন মাসে চণ্ডীর আরাধনার সূচনা করেছিলেন শ্রীরামচন্দ্র। শরতে আশ্বিন মাসে দেবী চণ্ডীর আরাধনার আগে চৈত্র মাসের এই সময়টাতে তাই পালিত হত চণ্ডীর আরাধনা। স্বয়ং রাবণও এই চৈত্র মাসেই চণ্ডীর আরাধনা করতেন। সেই কারণে শরতে বা আশ্বিন মাসে চণ্ডীর আরাধনাকে বলে দেবীর অকাল বোধন বা কাল অর্থাৎ সময়ের পূর্বেই আবাহন।

 

আরও পড়ুন

 

এই প্রতিকারে অর্থ ও শস্যের কোনো অভাব হবে না
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মা দুর্গাকে বাসন্তী পুজোর  তিন দিন ধরে নতুন পান পাতায় কালো সেদ্ধ ছোলা, গুড়, সুপারি, তুলা এবং মুদ্রা নিবেদন করা উচিত। পূর্ণ ভক্তি সহকারে মা দুর্গাকে এই পাঁচটি জিনিস নিবেদন করুন এবং এই মন্ত্রটি জপ করুন। এতে মা দুর্গা খুব খুশি হন এবং ঘরে অর্থ ও শস্যের অভাব হবে না। এই জিনিসগুলি খুব সস্তা এবং সহজেই পাওয়া যাবে।
মন্ত্র-
ওম জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী কপালিনী।
দুর্গা, ক্ষমা, শিব, ধাত্রী, স্বাহা, স্বধা, নমোহস্তুতে।

Advertisement

এই প্রতিকারে মায়ের আশীর্বাদ পাওয়া যাবে
মাকে খুশি করতে সন্ধি আরতি করা যেতে পারে। দুই ঘণ্টা, দুই তারিখ, দুই দিন, দুই পক্ষের মিলনের সময়কে সন্ধি কাল বলে। সপ্তমী তিথির শেষে এবং অষ্টমী তিথির শুরুতে, আপনি মা দুর্গার সন্ধি আরতি করতে পারেন। এর পাশাপাশি সন্ধি আরতিতে মা দুর্গার আরতি সকালে, বিকেলে, সন্ধ্যায় এবং রাতেও করা হয়। আরতির আগে মাকে পাঁচটি শুকনো ফল এবং লাল চুনরি নিবেদন করুন। আপনি তিন দিন ধরেই  এটি করতে পারেন। এতে করে আপনি মা দুর্গার আশীর্বাদ পাবেন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে।

এই জপ সমস্যার অবসান ঘটায়
তন্ত্রশাস্ত্রে, দেবীর ৩২টি নাম জপ করা অত্যন্ত শুভ এবং উপকারী বলে মনে করা হয়। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর রাতে মায়ের নাম ১০৮ বার জপ করুন। এতে করে মা দুর্গার কৃপা বজায় থাকে এবং যত ঝামেলাই চলুক না কেন তা থেকে মুক্তি পাবেন।

এই প্রতিকারে গ্রহগুলি শুভ ফল দেয়
গ্রহের অশুভ প্রভাব দূর করতে এই তিনটি তিথি খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। আপনি সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমী তিথির সন্ধ্যায় দুর্গা চালিসা, অর্গলা স্তোত্র, কীলক স্তোত্র এবং দুর্গা সপ্তসতী পাঠ করতে পারেন। পাঠ শেষে একটি ছোট যজ্ঞও করুন। যজ্ঞে  জায়ফল, লবঙ্গ, এলাচ, কালো তিল, কালো মরিচ, মধু, পদ্মগাট্টা, সুপারি, ঘি উৎসর্গ করুন এবং 'এ হি  ক্লী চামুন্ডায়ি বিচ্ছে ' মন্ত্রটি  ১০৮ বার জপ করুন। এতে করে রাহু-কেতু বা শনির মতো গ্রহের অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং পুরো পরিবার উন্নতি লাভ করে।

এই প্রতিকার রোগ থেকে মুক্তি দেয়
সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী তিথিতে অনেকের ব্রচ  শেষ হয় এবং শেষ দিনে কন্যাশিশুকে পূজা করে যজ্ঞ করা হয়। মনে রাখবেন যে ঈশান কোণে যজ্ঞ করা উচিত এবং তিন দিনই শাস্ত্রীয় উপায়ে মা দুর্গার পূজা করা উচিত। এতে করে সকল রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং সম্পদ বৃদ্ধি পায়।

এই প্রতিকার ছাত্রদের জন্য খুব ভাল
নবরাত্রি সকলের জন্য শুভ বলে মনে করা হয় এবং এটি মা দুর্গাকে খুশি করার সেরা দিন। পড়াশুনা করতে ভালো লাগে না বা ভুলে যান, ছাত্রছাত্রীরা যদি এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী তিথির যে কোনো একটিতে মাকে ধ্বজা অর্পণ করুন এবং প্রতিদিন এই মন্ত্রটি জপ করুন।  এটা করলে জ্ঞান ও প্রজ্ঞা বৃদ্ধি পায় এবং নিজের পথ বেছে নেয়
মন্ত্র-
'ওঁম সারদা মাতা ঈশ্বরী মে নিত সুমরি তোয় হাত জোড় আরজি করণ বিদ্যা ভার দে ময়।'

অষ্টমী-নবমীর পুজোয় যা করবেন না
অষ্টমী-নবমীর দিনে অনেক নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। এই নিয়মগুলি না মানলে মা রেগে যান বলে বিশ্বাস করা হয়। আসুন জেনে নিই এই দুই দিনে কোন কাজগুলো করা উচিত নয়। চৈত্র নবরাত্রির অষ্টমী ২৯শে মার্চ এবং নবমী পালিত হবে ৩০শে মার্চ। অষ্টমীতে মা মহাগৌরী এবং নবমীতে মা সিদ্ধিদাত্রীর পূজা করা হয়।
নবরাত্রিতে অষ্টমী ও নবমী উভয় দিনেরই বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই উভয় দিনেই কুমারী পূজা ও যজ্ঞ ইত্যাদি করা হয়। অষ্টমী ও নবমীর দিনে অনেক নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। আসুন জেনে নিই এই দুই দিনে কোন কাজগুলো করা উচিত নয়। 

এই দুই দিনেই দেরী পর্যন্ত ঘুমানো এড়িয়ে চলা উচিত। এই দিন ভোরে স্নান করে মাতা রাণী পাঠ করুন। ব্রত  না রাখলেও তাড়াতাড়ি স্নান করে পুজো করুন। মহানবমীর দিন কালো রঙের পোশাক পরবেন না। এই দিনে বেগুনি বা জাম  রঙের পোশাক পরা শুভ। এই রং মা সিদ্ধিদাত্রীর কাছে প্রিয়। তাই এই রঙের পোশাক পরে মায়ের পুজো করুন। মা মহাগৌরী ও সিদ্ধিদাত্রীকে পূর্ণ শরীর ও মন দিয়ে পূজা করতে হবে। পূর্ণ ভক্তি সহকারে দুর্গা চালিসা ও দুর্গা সপ্তশতী পাঠ করুন। এ সময় মনকে একেবারে নিবদ্ধ রাখতে হবে। পূজার সময় কারো সাথে কথা বলবেন না।  অষ্টমী বা মহানবমীর দিনে যজ্ঞ-পূজন করতে হবে। এটি ছাড়া নবরাত্রির পূজা অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। যজ্ঞের সময় বিশেষ খেয়াল রাখবেন যেন যজ্ঞের সামগ্রী কুণ্ডের বাইরে না পড়ে। আপনি যদি অষ্টমীতে উপবাস করে থাকেন, তাহলে মহানবমীর দিন কন্যাশিশুর পূজা করুন এবং তারপরেই ব্রত ভঙ্গ করুন। এতে মাতা রানীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। নবমীর দিনে কোন নতুন কাজ করা নিষিদ্ধ। বিশ্বাস অনুসারে, নবমী একটি খালি তিথি। মানে এই দিনে করা কাজে কোন সাফল্য নেই। নবমীর দিন লাউ খাওয়া উচিত নয়। অষ্টমীতে উপবাস থাকলে মহানবমীর দিনে সুজি লুচি  পুরি ও  ছোলা দিয়ে উপবাস ভাঙতে হবে।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement