কথায় বলে হিন্দু ধর্মে ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। এর মধ্যে নবরাত্রি উৎসব বছরে ৪ বার উদযাপিত হয় -চৈত্র ও শারদীয়া নবরাত্রি এবং দুটি গুপ্ত নবরাত্রি। চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথিতে চৈত্র নবরাত্রি উৎসব পালিত হবে। এই সময়ে মা দুর্গার নয়টি রূপকে আচার-অনুষ্ঠানের সঙ্গে পুজো করা হয়। বাংলায় এই পুজোই বাসন্তী দুর্গা পুজো নামে পরিচিত। বসন্তকালে এই পুজো হয় বলে, এই দুর্গাপুজো বাসন্তী নামে পরিচিত।
নবরাত্রির প্রথম দিন ঘট স্থাপন করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, নবরাত্রির সময় মায়ের পুজো করলে দেবী ভগবতীর বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া যায়। মা দুর্গাকে সুখ, সমৃদ্ধি ও সম্পদের দেবী মনে করা হয়। এবছর চৈত্র নবরাত্রির উৎসব পড়েছে ২২ মার্চ শুরু এবং শেষ ৩০ মার্চ। জ্যোতিষী বলেন, চৈত্র নবরাত্রির আগে ঘর ভাল ভাবে পরিষ্কার করা উচিত। সে সঙ্গে এই সময়কালে বাড়িতে কিছু বিশেষ জিনিস আনলে, বাড়িতে সুখ- শান্তি বিরাজ করে।
সোনা বা রুপোর মুদ্রা
নবরাত্রির সময় ঘরে সোনা বা রুপোর মুদ্রা আনা খুব শুভ বলে মনে করা হয়। মুদ্রার উপর যদি দেবী লক্ষ্মী বা ভগবান গণেশের ছবি থাকে, তবে তা আরও বেশি শুভ হবে। এটি আপনার বাড়ির ঠাকুরঘরে স্থাপন করুন।
পিতলের হাতি
বসার ঘরে একটি ছোট পিতলের হাতি রাখলে ঘরে পজিটিভ শক্তি প্রবেশ করে। পিতলের হাতি শুধু নেতিবাচক শক্তিই দূরে রাখে না, সাফল্যের পথও খুলে দেয়। চৈত্র নবরাত্রির সময় বাড়িতে আনতে পারেন এটি। তবে মনে রাখবেন এই হাতির শুঁড় যেন উপরের দিকে ওঠানো থাকে।
ধাতুর তৈরি শ্রীযন্ত্র
চৈত্র নবরাত্রির সময় বিশেষ ধাতুর তৈরি শ্রীযন্ত্র আনতে পারেন। কথিত আছে সোনার তৈরি শ্রীযন্ত্র সব সময়ই কার্যকর। যদিও রৌপ্য শ্রীযন্ত্রের শুভ প্রভাব এগারো বছর স্থায়ী হয়। অন্যদিকে তামার তৈরি শ্রীযন্ত্রের শক্তি দুই বছর পর শেষ হয়ে যায়। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যে কোনও শ্রীযন্ত্র ঘরে আনতে পারেন।
পদ্মের উপর উপবিষ্ট দেবীর ছবি
নবরাত্রির সময় বাড়িতে ধন-সম্পদ ও সমৃদ্ধি আনতে, দেবী লক্ষ্মীর এমন একটি ছবি আনুন যাতে তিনি পদ্মের উপর বসে আছেন। এর ফলে টাকার বৃষ্টি হবে তাঁর জীবনে।