আচার্য চাণক্য বিভিন্ন বিষয়ে পণ্ডিত ছিলেন। একজন মহান পণ্ডিত হওয়ার পাশাপাশি তিনি দক্ষ কূটনীতিক হিসাবেও বিবেচিত হন। চাণক্যের নীতিশাস্ত্র জীবন সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা এবং তার সমাধানগুলিতে আলোকপাত করে। চাণক্যের নীতিগুলি জীবনকে সফল করে তুলতে এবং আরও উন্নত জীবন যাপনের অনুপ্রেরণা দেয়।
প্রাচীন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক এবং অর্থনীতিবিদ চাণক্য। চাণক্য 'আর্থশাস্ত্র' রচনা করেছিলেন। এই কারণে, তিনি কৌটিল্যা নামে পরিচিত হন। মানব জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে এমন প্রতিটি বিষয় খুব গভীর ভাবে অধ্যয়ন করেছিলেন তিনি। এই কারণেই চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের উপদেষ্টা চাণক্যের নীতিগুলি আজও প্রাসঙ্গিক।
Chanakya Niti: বিবাহের ক্ষেত্রে উপযুক্ত পাত্রী নির্বাচনের বিচার্য বিষয়!
এই নীতিমালায়, আচার্য চাণক্য জীবন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেছেন। একই সঙ্গে তিনি জীবনের কয়েকটি সমস্যার সমাধানের দিকেও আলোকপাত করেছেন। একই ভাবে, তিনি শিক্ষার্থীদের জন্যও খুব জরুরি এবং আশ্চর্যজনক কিছু উপদেশ দিয়েছেন। এটি অনুসরণ করে যে কোনও শিক্ষার্থী সঠিক উপায়ে শিক্ষা অর্জনে সফল হতে পারে। প্রত্যেক শিক্ষার্থী এবং প্রতিটি ব্যক্তি যাঁরা জীবনের যে কোনও লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছেন, তাঁদের অবশ্যই এই বিশেষ বিষয়গুলির প্রতি যত্ন নেওয়া উচিত।
লালসা এবং ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ জরুরি
আচার্য চাণক্যের মতে, যে ব্যক্তির মনে লালসা আছে সে সঠিক এবং ভুলের পার্থক্য করতে পারেন না। যদি কোনও শিক্ষার্থী কোনও রকম লালসার শিকার হয়, তবে সে অধ্যায়ন সম্পূর্ণ করতে পারবে না। সুতরাং, পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের মনে এই ধরনের অনুভূতি জাগলে যা সতেচন ভাবে দমন করা উচিত।
Chanakya Niti: আহার ব্যক্তির চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করে
চাণক্য নীতি অনুসারে, কোনও ব্যক্তি কোনও কারণে ক্রোধের বসবর্তি হন, তাহলে তিনি সঠিক এবং ভুলের পার্থক্য করতে পারবেন না। সঠিক সিদ্ধান্তে নেওয়ার জন্য মন শান্ত থাকা অত্যন্ত জরুরি। সুতরাং, মানুষের উচিত তাঁর ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করা।