ভারতীয় শাস্ত্রের সর্বকালের সেরা পণ্ডিতদের মধ্যে অন্যতম হিসাবে গন্য করা হয় আচার্য চাণক্যকে। মানব জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে এমন প্রতিটি বিষয় খুব গভীর ভাবে অধ্যয়ন করেছিলেন তিনি। এই কারণেই চানক্যের নীতি আজও প্রাসঙ্গিক।
আচার্য চাণক্য বিভিন্ন বিষয়ে পণ্ডিত ছিলেন। একজন মহান পণ্ডিত হওয়ার পাশাপাশি তিনি দক্ষ কূটনীতিক হিসাবেও বিবেচিত হন। চাণক্যের নীতিশাস্ত্র জীবন সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা এবং তার সমাধানগুলিতে আলোকপাত করে। চাণক্য 'আর্থশাস্ত্র' রচনা করেছিলেন। এই কারণে, তিনি কৌটিল্যা নামে পরিচিত হন। 'হিন্দি চাণক্যের নীতিগুলি জীবনকে সফল করে তুলতে এবং আরও উন্নত জীবন যাপনের অনুপ্রেরণা দেয়। এই নীতিমালায়, চাণক্য জ্ঞানী ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু বিশেষ কথা বলেছেন।
জ্ঞানের ব্যবহার জরুরি:
আচার্য চাণক্যের মতে, জ্ঞানের যদি ব্যবহার না করা হয়, তবে তা ধীরে ধীরে বিনষ্ট হয়ে যায়। যেমন, সেনাপতি ছাড়া সেনাদলও ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়, তেমনই মানুষ যদি অজ্ঞ থাকে, তবে সে হারিয়ে যায়।
ব্যক্তির আহার তাঁর চিন্তাভাবনার সঙ্গে সম্পর্কিত:
চাণক্য নীতি অনুসারে, কোনও ব্যক্তির আহার তাঁর চিন্তাভাবনার সঙ্গে সম্পর্কিত। কোনও ব্যক্তি তাঁর পছন্দ মতো খাবার খায়। সেই আহার গ্রহণের মধ্যে দিয়েই সাত্বিক, রাজসিক, তামাসিক— এই ধরণের চিন্তাভাবনা আমাদের মধ্যে উদ্ভূত হয়।
জ্ঞানী লোকের পরিচয়:
চাণক্য নীতিতে বলা হয়েছে যে, শিক্ষিত লোক যেন তার সম্পত্তি শুধু মাত্র যোগ্য ব্যক্তি বা উত্তরাধিকারীদের হাতেই অর্পন করেন। আচার্য চাণক্যের মতে, সমুদ্র মেঘের সঞ্চার ঘটায়। মেঘ থেকে পৃথিবীর সর্বত্র বৃষ্টি হয়ে জল ছড়িয়ে পড়ে। নদী-নালা ভরে ওঠে। আবার ওই জলই ফিরে আসা সমুদ্রে। তাই তাঁর মতে, বিদ্যা, জ্ঞান বা সম্পত্তি উপযুক্ত ব্যক্তিকেই দেওয়া উচিৎ যাতে তার সঠিক প্রয়োগ হয়।
আচার্য চাণক্যের মতে, যে ব্যক্তি বৃদ্ধ বয়সে স্ত্রীর মৃত্যু দেখেন, তিনি দুর্ভাগা। যিনি নিজের সম্পত্তি আত্মীয়দের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হন, তিনিও দুর্ভাগা বা হতভাগ্য। যে ব্যক্তি দু’বেলা আহারের জন্য অন্যের উপর নির্ভরশীল, তিনিও হতভাগ্য।