আচার্য চাণক্যকে ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। চাণক্যের সাফল্যের নীতিগুলি আধুনিক সময়েও প্রাসঙ্গিক। তাঁর উপদেশ মানলে একজন ব্যক্তি জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে পারে। চাণক্য নীতিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নীতি রয়েছে যা অনুসরণ করলে জীবনে সাফল্য, সম্মান এবং স্থিতিশীলতা অর্জন করা সম্ভব।
প্রাচীন ভারতের মহাপণ্ডিত আচার্য চাণক্য ছিলেন একাধারে সর্বশাস্ত্রজ্ঞ, কূটনীতিজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক। তিনি যে কোনও বিষয়ের গভীরে গিয়ে পর্যালোচনা করতে জানতেন। জীবনকে বাস্তবতার নিরিখে পরিমাপ করতেন তিনি। সেই কারণে এত হাজার বছর পরেও তাঁর উপদেশ আজও সমান ভাবে কার্যকরী ও উপযোগী।
চাণক্যের নীতি শাস্ত্র মানব জীবন এবং সমাজের সঙ্গে সম্পর্কিত অসংখ্য নীতির রূপরেখা তুলে ধরেছে। এই নীতিগুলির একটিতে তিনি বলেছেন যে, তিন ধরণের মানুষ পৃথিবীতে স্বর্গের মতো আনন্দ উপভোগ করেন। জেনে নিন, এই তিন ধরণের মানুষ কারা এবং কীভাবে তারা তাদের জীবনে সাফল্য এবং সন্তুষ্টি অর্জন করে।
নীতি শাস্ত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের তৃতীয় শ্লোকে আচার্য চাণক্য ব্যাখ্যা করেছেন যে, তিন ধরণের মানুষ আছেন যারা তাদের জীবনে সর্বদা সুখী এবং সমৃদ্ধ। এই ব্যক্তিরা জীবনে সর্বদা সফল হন। এরা দুঃখ এবং ঝামেলা অনেক দূরে থাকে। তাদের ঘর এবং পরিবার সর্বদা সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ থাকে।
ছেলে নিয়ন্ত্রণে
আচার্য চাণক্যের মতে, যে বাবার ছেলে সম্পূর্ণরূপে তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং তাঁর প্রতিটি আদেশ পালন করে তিনি পৃথিবীতে থাকাকালীন স্বর্গীয় আনন্দ উপভোগ করেন। আজকাল, বাবা ও ছেলের মধ্যে দ্বন্দ্ব সাধারণ। কিন্তু যে বাবার ছেলেরা তার আদেশ পালন করে সে ভাগ্যবান। চাণক্যের মতে, এই ধরণের পরিবারগুলিতে সর্বদা সুখ এবং শান্তি বিরাজ করে।
বাধ্য স্ত্রী
চাণক্য বলেছেন, যে পুরুষের একজন বাধ্য এবং বোধগম্য স্ত্রী থাকে তিনি অত্যন্ত ভাগ্যবান। একজন বাধ্য স্ত্রী কেবল তার স্বামীকে সমর্থন করেন না বরং সংসারে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি বজায় রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বাড়ি।
সম্পদে সন্তুষ্ট
শ্লোকের শেষে, আচার্য চাণক্য আরও লিখেছেন যে, যে ব্যক্তি ঈশ্বরের প্রদত্ত সম্পদে সন্তুষ্ট থাকে সে প্রকৃত সুখী এবং ধনী হয়। এই ধরণের ব্যক্তি জীবনে কখনও ব্যর্থতা, দুঃখ বা মানসিক চাপের সম্মুখীন হয় না। তাদের মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকে এবং তারা সর্বদা তৃপ্তি, আনন্দ এবং শান্তি অনুভব করে।