আচার্য চাণক্য বিভিন্ন বিষয়ে পণ্ডিত ছিলেন। একজন মহান পণ্ডিত হওয়ার পাশাপাশি তিনি দক্ষ কূটনীতিক হিসাবেও বিবেচিত হন। চাণক্যের নীতিশাস্ত্র জীবন সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা এবং তার সমাধানগুলিতে আলোকপাত করে। চাণক্যের নীতিগুলি জীবনকে সফল করে তুলতে এবং আরও উন্নত জীবন যাপনের অনুপ্রেরণা দেয়।
প্রাচীন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক এবং অর্থনীতিবিদ চাণক্য। চাণক্য 'আর্থশাস্ত্র' রচনা করেছিলেন। এই কারণে, তিনি কৌটিল্য নামে পরিচিত হন। মানব জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে এমন প্রতিটি বিষয় খুব গভীর ভাবে অধ্যয়ন করেছিলেন তিনি। এই কারণেই চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের উপদেষ্টা চাণক্যের নীতিগুলি আজও প্রাসঙ্গিক।
এই নীতিমালায় একজন সফল দলনেতা হওয়ার আবশ্যিক যোগ্যতা ও গুণাবলির উপর আলোকপাত করেছেন চাণক্য। চাণক্যের মতে, একজন সফল দলনেতার মধ্যে বেশ কয়েকটি গুণাগুণ থাকা জরুরি। এই গুণাবলী যাঁর নেই, সেই ব্যক্তি কখনওই একজন সফল দলনেতা হতে পারে না। একজন যোগ্য নেতা হতে গেলে সবার আগে মনে রাখতে হবে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...
আচার্য চাণক্যের মতে, সাফল্যের পথ খুব কঠিন নয়। তবে জীবনে সাফল্য পেতে গেলে অবশ্যই কঠোর শৃঙ্খলা ও পরিশ্রম করতে হবে। তাঁর মতে, ব্যর্থতার শিক্ষাও মানুষকে জীবনে সফল হওয়ার অনুপ্রেরণা দেয়।
কৌটিল্যের মতে, সফল দলনেতা হতে গেলে ওই ব্যক্তিকে সবার আগে নিজ স্বার্থ ত্যাগ করতে হবে। একজন স্বার্থপর ব্যক্তি কখনওই প্রকৃত দলনেতা হয়ে উঠতে পারেন না। দলনেতা হিসাবে সফল হতে গেলে সময় মতো সমস্ত কাজ সমাপ্ত করার দক্ষতা থাকতে হবে। তবেই জীবনে সাফল্য আসবে।
আচার্য চাণক্যের মতে, একজন উপযুক্ত নেতার তাই সর্বদা সময়ের গুরুত্ব বোঝা উচিৎ। পরিস্থিতি বিচার করে তার ভিত্তিতে কৌশল স্থির করা উচিত। এর পাশাপাশি দলের প্রতিটি সদস্যের প্রতি সমান বোঝাপড়া এবং নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি। একজন দলনেতার তখনই সাফল্য লাভ করেন যখন তাঁর দলের প্রতিটি সদস্যের প্রতি সমান নজর ও নিয়ন্ত্রণ কাজ করে। তাঁর মতে, দলের সকল সহকর্মীদের প্রতিভা এবং দক্ষতা সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারলে তবেই দলনেতার সামগ্রিক সাফল্য আসে। এ ক্ষেত্রে পরিকল্পনা রূপায়ণে উপস্থিত বুদ্ধি ও বিচক্ষণতা প্রয়োজন। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করে কাজ করা যে কোনও লক্ষ্যে সাফল্য অর্জনের জন্য জরুরি পদক্ষেপ।