প্রাচীন ভারতের মহাপণ্ডিত আচার্য চাণক্য ছিলেন একাধারে সর্বশাস্ত্রজ্ঞ, কূটনীতিজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক। তিনি যে কোনও বিষয়ের গভীরে গিয়ে পর্যালোচনা করতে জানতেন। জীবনকে বাস্তবতার নিরিখে পরিমাপ করতেন তিনি। সেই কারণে এত হাজার বছর পরেও তাঁর উপদেশ আজও সমান ভাবে কার্যকরী ও উপযোগী।
চাণক্যের সাফল্যের নীতিগুলি আধুনিক সময়েও প্রাসঙ্গিক। তাঁর উপদেশ মানলে একজন ব্যক্তি জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে পারে। আচার্য চাণক্যকে ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
প্রতিটি মানুষ জীবনে উন্নতি ও সমৃদ্ধি চায়। তবে, এটি তখনই সম্ভব যখন আমরা কিছু ভাল অভ্যাসকে আমাদের জীবনের অংশ করে তুলি। আচার্য চাণক্য নীতিশাস্ত্রে এমন কিছু অভ্যাসের কথা উল্লেখ করেছেন, যা অল্প সময়ের মধ্যে একজন ব্যক্তিকে ধনী করে তুলতে পারে এবং জীবনে তাকে সুখী ও সমৃদ্ধ করে তুলতে পারে।
ধর্মীয় কাজ
চাণক্যের মতে, দান হল সর্বোত্তম এবং সবচেয়ে পুণ্যময় কাজগুলির মধ্যে একটি। যে ব্যক্তি অভাবী, নিঃস্ব এবং ধর্মীয় কাজে উদারভাবে দান করে তার কখনও অর্থের অভাব হয় না। চাণক্য বলেন যে, দান করার মাধ্যমে সম্পদ হ্রাস পায় না, বরং বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। এই অভ্যাস কেবল আর্থিক সমৃদ্ধিই আনে না, বরং জীবনে সুখ ও শান্তি এবং সমাজে সম্মানও বয়ে আনে।
ধন সঞ্চয়
চাণক্য নীতি সম্পদের গুরুত্ব তুলে ধরে এবং বলে যে সংকটের সময়ে অর্থ মানুষের সবচেয়ে ভাল বন্ধু। ফলে মানুষের কখনও অপচয় করা উচিত নয়। পরিবর্তে, সম্পদ সঞ্চয়ের অভ্যাস গ্রহণ করা উচিত। যারা ভবিষ্যতের জন্য তাদের উপার্জনের একটি অংশ সঞ্চয় করে, তারা কেবল আর্থিকভাবে সুরক্ষিতই থাকে না বরং জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতেও সক্ষম হয়।
কঠোর পরিশ্রম
আচার্য চাণক্যের মতে, কঠোর পরিশ্রমই সাফল্য এবং সম্পদের দরজা খুলে দেয়। পরিশ্রমী ব্যক্তি সহজেই তার লক্ষ্য অর্জন করে। যারা কঠোর পরিশ্রম করে তাদের উপর দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সর্বদা থাকে এবং তাদের পকেট কখনও খালি থাকে না। অলসতা ত্যাগ করে কঠোর পরিশ্রম করার অভ্যাস কেবল একজন ব্যক্তিকে ধনী করে না, বরং তাকে আত্মবিশ্বাস এবং সম্মানও দেয়।