Chanakya Niti for wife: একজন মহান অর্থনীতিবিদ, কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ ছাড়াও আচার্য চাণক্য জীবন নিয়ে অনেক সুপরামর্শও দিয়ে গিয়েছেন। তার বলা বিষয়গুলো পরিবারকে একত্র রাখতে, দাম্পত্য জীবনকে সুখী করতে এবং আনন্দময় জীবনযাপনে খুবই সহায়ক। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নিয়ে চাণক্য নীতিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা হয়েছে। এতে স্বামী-স্ত্রীর কর্তব্য ও অভ্যাস সম্পর্কিত বিষয়গুলো বলার পাশাপাশি কিছু বিষয় এড়িয়ে চলার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। চাণক্য নীতির এই বিষয়গুলো মেনে চললে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক খুব মজবুত ও সুখী হবে, তা না হলে সম্পর্ক ভাঙতে বা খারাপ সময় আসতে বেশি সময় লাগবে না।
স্ত্রীর এই আচরণগুলি ঘর-সংসার নষ্ট হওয়ার ইজ্ঞিত দেয়
- স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে যদি সৌহার্দ্য, বিশ্বাস ও ভালোবাসা না থাকে, তাহলে এই সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে। এর ফলে পুরো পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাড়িতে অশান্তি, উত্তেজনা ও দুঃখের পরিবেশ বিরাজ করে। আচার্য চাণক্য বলেছেন - এমন সময় কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের শত্রু হয়ে যায়।
- স্বামী বা স্ত্রীর যদি অন্য পুরুষ বা মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক থাকে, তবে এমন পরিস্থিতিতে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের শত্রু হয়ে যায়। তারা একে অপরের সঙ্গ মিস করে না। তাই এমন পরিস্থিতি যেন না হয়। যদি স্বামী-স্ত্রী একে অপরের সাধারণ কথাবার্তা সহ্য করতে না পারে, একে অপরের সম্পর্কে কথা বলতে ভাল না লাগে তবে এটি তাদের সম্পর্ক দুর্বল হওয়ার লক্ষণ।
- স্ত্রী যদি লোভী হয় এবং প্রতিদিন নতুন নতুন দাবি করে এবং তা পূরণ না হলে হুমকি দেয়, স্বামীকে কোথাও থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য চাপ দেয়, তবে এই পরিস্থিতি বিবাহিত জীবনের জন্য উপযুক্ত নয়। যদি স্ত্রীর এই আচরণের পরিবর্তন না হয় এবং তার চাহিদা বাড়তে থাকে, তাহলে সেই দিন দূরে নয় যেদিন পরিবারটি দরিদ্র হয়ে যাবে।
- স্ত্রী যদি অশিক্ষিত হয় এবং শিক্ষিত স্বামীর কোন কিছুই তার পছন্দ না হয়, তাহলে এমন পরিস্থিতিতেও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন। একজন বোকা স্ত্রী পরিবারকে ধ্বংস করতে পারে। এই ধরনের স্ত্রীর সঙ্গ পরিবারের সম্মান, সম্পদ এবং প্রতিপত্তি ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। এর সঙ্গে সব কিছুতে স্ত্রীর মিথ্যা বলাও খারাপ সময়ের লক্ষণ।
- যে স্ত্রী শুধুমাত্র নিজের মেকআপ, গয়না, সাজসজ্জার দিকে মনোনিবেশ করে, ঘরের বাইরে বেশি সময় ব্যয় করে এবং এই জাতীয় অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলিতে বেশি বেশি অর্থ ব্যয় করে, তবে এমন পরিবার ধ্বংস হতে সময় লাগে না। অর্থ কেবল তখনই সদ্ব্যবহার করা হয় যখন তা ভাল শিক্ষা, দাতব্য এবং ধর্মের জন্য ব্যবহার করা হয়।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)