Advertisement

Chanakya Niti: এই চার গুণসম্পন্ন মহিলারাই সমাজে সবচেয়ে সফল!

চাণক্যের নীতিগুলি জীবনকে সফল করে তুলতে এবং আরও উন্নত জীবন যাপনের অনুপ্রেরণা দেয়। এই নীতিমালায়, পারিবারিক ও সামাজিক উন্নয়নে মহিলাদের চার বিশেষ গুণের কথা আলোচিত হয়েছে।

চাণক্য নীতি।চাণক্য নীতি।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 24 Nov 2020,
  • अपडेटेड 11:25 PM IST
  • প্রাচীন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক এবং অর্থনীতিবিদ চাণক্য।
  • চাণক্যের শিক্ষা জীবনে সফল হওয়ার অনুপ্রেরণা জোগায়।
  • আচার্য চাণক্যের মতে, সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে মহিলাদেরও বিশেষ অবদান রয়েছে।

ভারতীয় শাস্ত্রের সর্বকালের সেরা পণ্ডিতদের মধ্যে অন্যতম হিসাবে গন্য করা হয় আচার্য চাণক্যকে। মানব জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে এমন প্রতিটি বিষয় খুব গভীর ভাবে অধ্যয়ন করেছিলেন তিনি। এই কারণেই চানক্যের নীতি আজও প্রাসঙ্গিক।

আচার্য চাণক্য বিভিন্ন বিষয়ে পণ্ডিত ছিলেন। একজন মহান পণ্ডিত হওয়ার পাশাপাশি তিনি দক্ষ কূটনীতিক হিসাবেও বিবেচিত হন। চাণক্যের নীতিশাস্ত্র জীবন সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা এবং তার সমাধানগুলিতে আলোকপাত করে। চাণক্য 'আর্থশাস্ত্র' রচনা করেছিলেন। এই কারণে, তিনি কৌটিল্য নামে পরিচিত হন। চাণক্যের নীতিগুলি জীবনকে সফল করে তুলতে এবং আরও উন্নত জীবন যাপনের অনুপ্রেরণা দেয়। এই নীতিমালায়, পারিবারিক ও সামাজিক উন্নয়নে মহিলাদের চার বিশেষ গুণের কথা আলোচিত হয়েছে।

আরও পড়ুন

আচার্য চাণক্যের মতে, সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে মহিলাদেরও বিশেষ অবদান রয়েছে। পরিবারের সম্মান বৃদ্ধিতে মহিলারাই প্রধাণ ভূমিকা পালন করেন। সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে মহিলারা অনেক দিক থেকেই পুরুষের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। মহিলাদের মধ্যে পুরুষের তুলনায় অনেক বেশি সহনশীলতা ও সাহস রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে নতুন কিছু দ্রুত শিখে নেওয়ার বিশেষ দক্ষতাও রয়েছে। সকল মহিলার মধ্য সমস্ত গুণ থাকা সম্ভব নয়। তবে বিশেষ চারটি গুণ যে সকল মহিলাদের মধ্যে রয়েছে, চাণক্যের মতে তাঁরাই সমাজে সবচেয়ে বেশি সফল হতে পারেন।

আচার্য চাণক্যের মতে, যে মহিলা সর্বদা সত্যের পথে চলেন, তিনিই তাঁর পরিবারকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। এই সমাজের মহিলারা সর্বত্র সম্মান পান। মানব কল্যাণের পাশাপাশি এই গুণ তাঁর চরিত্রের পবিত্রতা সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে।

কৌটিল্যের মতে, নম্রতা এমন একটি গুণ যা শত্রুকেও তাঁর মাথা নত করতে বাধ্য করে। একজন মহিলা যিনি নম্র স্বভাবের, তিনি সকলের কাছেই প্রিয়পাত্রী এবং সম্মানিতা। নম্র স্বভাবের মহিলা সংবেদনশীল এবং অন্যের স্বার্থ রক্ষার বিষয়েও সদা সচেতন থাকেন।

মহিলাদের ধর্ম চর্চা ও বেদ অধ্যয়ন করা উচিত। এমনটাই মনে করতেন আচার্য চাণক্য। যে সকল মহিলা ধর্ম চর্চা ও বেদ অধ্যয়ন করেন এবং তার নীতিশিক্ষাগুলি অনুসরণ করেন,  তাঁরা সমাজের সর্বস্তরে সম্মানিত হন। ধর্ম চর্চা ও বেদ অধ্যয়ন সত্য এবং অসত্যের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে সাহায্য করে, জীবনকে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলতে সহায়তা করে।

আচার্য চাণক্য বিশ্বাস করতেন, মহিলাদের মধ্যে সাহসের কোনও অভাব নেই। চাণক্যের মতে, পুরুষের তুলনায় মহিলাদের সাহস অনেকাংশে বেশি থাকে। তবে এই সাহস সঠিক সময়ে, সঠিক কাজে ব্যবহার করা উচিত বলেই মনে করতেন তিনি। আচার্য চাণক্য বিশ্বাস করতেন, একজন সাহসী মহিলাই পারেন তাঁর পরিবারকে রক্ষা করতে, প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে।
 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement