আচার্য চাণক্য খুব জ্ঞানী এবং তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন। মানব জীবনের বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর গভীর ধারণাও ছিল। তিনি সুখী জীবনযাপন করার অনেক উপায় বাতলে দিয়েছেন। একই সঙ্গে অর্থ দিয়ে অগ্রগতি করার বিষয়েও নানান পরামর্শ দিয়েছেন।
শাস্ত্রজ্ঞ বিদ্বানরা এ কথা বিশ্বাস করেন, যে কোনও বিপর্যয়েও অবিচল থাকার শক্তি ও শিক্ষা মেলে আচার্য চাণক্যের এই দর্শন থেকে। শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতদের মতে, যে সকল ব্যক্তি আচার্য চাণক্যের নীতি নিয়মিত অধ্যয়ন করেন, যাঁরা চাণক্যের জীবন দর্শন আত্মস্থ করতে পেরেছেন, তাঁদের জীবন থেকে দুঃখ-দুর্দশা সহজেই দূর হয়।
আচার্য চাণক্যের মতে, দুর্জন মানেই সে ব্যক্তি সাপের চেয়েও বিপজ্জনক! কারণ, সে পদে পদে ক্ষতির চেষ্টা করবে। এই প্রসঙ্গে আচার্য চাণক্যের দর্শন সুষ্ঠু জীবনযাপনে এবং শত্রুদের এড়াতে সহায়তা করবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এরকম কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়...
আচার্য চাণক্যের মতে, মানুষ তার আচরণের দ্বারা চিহ্নিত হয়। একজন মানুষের পরিবারের সুনাম তার আচরণ থেকে আসে। তাঁর মতে, দুষ্ট বা দুর্জন ব্যক্তি বিষধর সাপের চেয়েও অনেক বেশি বিপজ্জনক! আচার্য চাণক্যের মতে, সাপ কেবল তখনই ছোবল মারবে যখন তার জীবনে বিপদ আসন্ন। কিন্তু দুর্জন ব্যক্তি প্রতি পদে পদে ক্ষতি করার চেষ্টা করে যাবে।
আচার্য চাণক্যের মতে, মূর্খের সঙ্গে বন্ধুত্ব হৃদয়কে পীড়া দান করে। তাঁর মতে, মূর্খদের সঙ্গে কখনওই বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত নয়। মূর্খদের নির্বোধের মতো কার্যকলাপে হৃদয় বার বার ব্যথিত হয়। জীবনে এগিয়ে চলার পথে বার বার বাধার সৃষ্টি হয়।