Chandra Grahan 2022: বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ ঘটতে চলেছে সোমবার ১৬ মে ২০২২ তারিখে এবং এই দিনটি বৈশাখী পূর্ণিমা । গ্রহণের সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা এবং নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন, যাতে এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না হয়। জ্যোতির্বিদ শৈলেন্দ্র পাণ্ডে চন্দ্রগ্রহণের সতর্কতা ও নিয়ম সম্পর্কে বলেন, যা মেনে চললে উপকার পাওয়া যায়। অতএব, আপনার নীচে উল্লিখিত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, যাতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া না ঘটে।
জ্যোতির্বিদ শৈলেন্দ্র পাণ্ডের মতে, এই গ্রহণ বিশাখা নক্ষত্রে ঘটবে। যখন গ্রহণ শুরু হবে তখন চাঁদ থাকবে তুলা রাশিতে এবং গ্রহণ শেষ হলে বৃশ্চিক রাশিতে থাকবে। ৩ বিন্দু এই গ্রহণ দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। প্রথমে বিশাখা নক্ষত্র যা বৃহস্পতি নক্ষত্র, দ্বিতীয় তুলা রাশি এবং তৃতীয় বৃশ্চিক রাশি।
এই চন্দ্রগ্রহণ ভারতে দেখা যাবে না এবং ভারতেও এর কোনো প্রভাব পড়বে না। কিন্তু এই গ্রহণ বিশেষভাবে দেখা যাবে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ এবং আফ্রিকায়। এই পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণকে ব্লাডমুন বলা হবে।
ভারতে গ্রহণ দেখা যাবে না কিন্তু প্রভাব পড়বে: জ্যোতির্বিদ শৈলেন্দ্র পাণ্ডে
জ্যোতির্বিদ শৈলেন্দ্র পাণ্ডের মতে, চন্দ্রগ্রহণের সঙ্গে ৪টি জিনিস জড়িত। চন্দ্র, সূর্য, রাহু ও কেতু। এই চন্দ্রগ্রহণ ভারতে দেখা যাবে না, ফলে মন্দিরের দরজা না খোলা, খাবার না খাওয়া ইত্যাদি সূতকের নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। কারণ আমাদের শাস্ত্রে স্পষ্ট বলা আছে, যেখানে গ্রহণ দেখা যায় না, সেখানে সূতকের নিয়ম মানা চলবে না।
তবে চাঁদ এতে সম্পূর্ণভাবে প্রভাবিত হবে। এর পাশাপাশি সূর্য ও শনি একসঙ্গে চন্দ্রের ওপর প্রভাব ফেলবে। এখন চাঁদ একটাই এবং সেটা আমেরিকা হোক বা ভারত, সবখানেই দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বে এর প্রভাব পড়বে। চন্দ্রের প্রভাবের কারণে, এই গ্রহণের প্রভাব প্রতিটি ব্যক্তি এবং প্রতিটি রাশির উপর পড়বে।
গ্রহণকালে এই সাবধানতাগুলো মেনে চলুন
জ্যোতির্বিদ শৈলেন্দ্র পাণ্ডের মতে, এটি একটি সম্পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ, এটি ভারতে দেখা যাবে না, তাই সূতকের নিয়ম অনুসরণ করবেন না। কেউ খেতে চাইলে বা ঘুমোতে চালে তা পারেন। তবে আপনি যদি গ্রহণের সুবিধা নিতে চান তবে মন্ত্র জপ করুন, গ্রহণের সময় ধ্যান করুন। এটা আপনার জন্য ভাল ফলদায়ক হবে।
আপনি যদি চান যে চাঁদ বা চন্দ্র আপনাকে বিরক্ত না করে তবে আপনি গ্রহণের পরে দান করতে পারেন। চন্দ্রগ্রহণের পর রৌপ্য, দুধ, চিনি, চাল দান করুন, এতে চন্দ্রের বাধা দূর হবে।
চন্দ্রগ্রহণের প্রভাব
চন্দ্রগ্রহণের প্রভাব ১৫ দিন থেকে একমাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এ সময়ে দেশ ও বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা বাড়বে। উপকূলীয় এলাকায় বিবাদ হতে পারে। যুদ্ধ থেমে গেছে বলে মনে হতে পারে। চন্দ্রগ্রহণের কারণে গ্রহের প্রভাবে মূল্যস্ফীতি বাড়বে এবং জনরোষও বাড়বে।
ভারতের রাশি হল কর্কট এবং চন্দ্র হল এর অধিপতি। তাই ভারতে বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটতে পারে। মহিলা রাজনীতিবিদ বা শিল্পীর জন্য খারাপ সময় আসতে পারে।