Lunar Eclipse 2023: ৫ ও ৬ মের রাতে হতে চলেছে বছরের দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ। তবে এটি একটি উপছায়া চন্দ্রগ্রহণ, তাই এর সূতক বৈধ হবে না। তবুও, গ্রহণকালে কিছু কাজ করা নিষেধ। গর্ভবতী মহিলা, বয়স্ক এবং শিশুদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে গ্রহণের সময়। আসুন জেনে নেওয়া যাক গ্রহণের সময় কোন কাজগুলো করা উচিত নয়।
চন্দ্রগ্রহণের সময় খাবারের নিয়ম
চন্দ্রগ্রহণের সময় না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ সম্পর্কে একটি ধর্মীয় বিশ্বাসও রয়েছে যে এটি একটি অশুভ ঘটনা এবং অশুভ কাজের সময় এটি খাওয়া ঠিক নয়। অন্যদিকে বৈজ্ঞানিক কারণ হল, গ্রহণকালে ক্ষতিকর রশ্মি নির্গত হওয়ার কারণে বায়ুমণ্ডল দূষিত হয় এবং খাদ্যদ্রব্যও বিষাক্ত হয়ে পড়ে। তাই গ্রহণের সময় খাবেন না। এই সময়ে খেলে অশুভ প্রভাবের সম্মুখীন হতে পারেন। তবে বয়স্ক, শিশু এবং গর্ভবতী মহিলারা এ ধরনের নিয়ম থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।
চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলাদের এই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত
চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলাদেরও বিশেষভাবে সতর্ক হওয়া উচিত। গ্রহণকালে ক্ষতিকর রশ্মি বের হওয়ার কারণে গর্ভবতী নারীর গর্ভে বেড়ে ওঠা শিশুর ক্ষতি হতে পারে। তাই গর্ভবতী মহিলাদের গ্রহণকালে খোলা আকাশের নীচে ঘরের বাইরে বের হওয়া উচিত নয়। চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলার ধর্মীয় বই পড়া উচিত। এটি গ্রহণের অশুভ প্রভাবের অবসান ঘটায় এবং গর্ভে বেড়ে ওঠা শিশুর বুদ্ধিমত্তাকে তীক্ষ্ণ করে।
চন্দ্রগ্রহণের সময় ভ্রমণ সংক্রান্ত নিয়ম
গ্রহণের সময় প্রয়োজন না হলে ভুল করেও ঘর থেকে বের হবেন না। তারপরও প্রয়োজন হলে মাথা ঢেকে বের হবেন এবং ভুল করেও চাঁদের দিকে তাকাবেন না। আপনি যদি বাইরে যান, আপনার কাজ দ্রুত শেষ করুন এবং তাড়াতাড়ি ফিরুন। কোনো মোড়ের কাছে যাবেন না। এই ধরনের স্থানে, গ্রহণের সময় নেতিবাচক শক্তি সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং তাদের সংস্পর্শে এসে আপনার ক্ষতি হতে পারে।
চন্দ্রগ্রহণের সময় পূজা সংক্রান্ত নিয়ম
চন্দ্রগ্রহণের সময় পূজা সংক্রান্ত শাস্ত্রে উল্লেখ আছে যে মূর্তি স্পর্শ করা নিষেধ, তবে আপনি জপ বা পাঠ করতে পারেন। ভজন কীর্তন করতে পারেন। গ্রহণ শেষ হলে মন্দিরে দেবতাদের স্থানটি সঠিকভাবে পরিষ্কার করুন এবং গঙ্গার জল দিয়ে পবিত্র করার পরেই পুনরায় পূজা শুরু করুন।
চন্দ্রগ্রহণের রাতে ব্রহ্মচর্য পালন
চন্দ্রগ্রহণের সময় নারী ও পুরুষ উভয়েরই সংযম রেখে ব্রহ্মচর্যের নিয়ম মেনে চলা উচিত। ধারণা করা হয়, গ্রহণের সময় স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের কারণে জন্ম নেওয়া সন্তান পঙ্গু হয়ে যেতে পারে বা কোনো ধরনের মানসিক ব্যাধি দেখা দিতে পারে। এই সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মনকে ভগবানের প্রতি একাগ্র করা উচিত।