প্রায় সারা বছর বেশিরভাগ মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন ডিসেম্বর (December) মাসের জন্যে। চারিদিকের রাস্তাঘাট থাকে সুন্দর করে সাজানো। বাতাসেও যেন বইতে থাকে খুশির হাওয়া। কারণ, বড়দিন (Christmas)! বিশ্বজুড়ে এখন প্রায় সর্বাধিক উদযাপিত উৎসব বড়দিন। এই উৎসবের নাম শুনলেই বহু মানুষের মুখ উত্তেজনা এবং প্রত্যাশায় আলোকিত হয়।
বড়দিন ভালবাসেন না এরকম মানুষ পাওয়া সত্যিই বিরল। আনন্দ ও একরাশ পজিটিভির এই উৎসব সম্পর্কে তাই রইল কিছু অজানা তথ্য।
* বড়দিনকে পৌত্তলিক (Pegan) উৎসব হিসাবে বিবেচনা করা হত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে,১৮৪০ সালে এটিকে উৎসব হিসাবে গণ্য করা হয় এবং পরে ১৮৭০ সালে এই দিনটি সরকারী ছুটিতে পরিণত হয়।
*ক্রিসমাস ট্রিকে 'স্বর্গের গাছ' (Tree Of Paradise) হিসাবে মনে করা হয়।
* আগে ক্রিসমাস ট্রী (Christmas Tree) আপেল, বাদাম এবং লাল কাগজের স্ট্রিপ দিয়ে সাজানোর ঐতিহ্য ছিল। তবে বর্তমানে এই গাছগুলি নানাবিধ অলঙ্কার, মালা, ক্যান্ডি, ঘন্টা, তারা ও আলো ইত্যাদিতে দিয়ে সাজানো হয়।
* কেরালার চেঙ্গানুরের বাসান্দারা জনগণ একটি বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করেছিলেন।বিশ্বের বৃহত্তম মানব ক্রিসমাস ট্রি তৈরি করেছিলেন তাঁরা যেখানে ৪,০৩০ জন অংশগ্রহণ করেছিলেন।
* কানাডার মুস্কোকা গ্রামকে বলা হয় সকলের প্রিয় সান্তা ক্লজের বাড়ি। সেখনে সান্তার নামে একটি মেইলিং পোস্ট তৈরি করা হয়েছিল। যেখানে আজও লক্ষ লক্ষ চিঠি পৌছায়। এই ডাকের কোডটি হল,' H0H0H0'।
* আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র এবং ফিনল্যান্ডের ইন্ডিয়ানা, জর্জিয়া এবং অ্যারিজোনাতে সান্তা ক্লজ নামে বেশ কয়েকটি শহর রয়েছে।
* পেরুতে বড়দিনের সময়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে এবং নতুন বছর উদযাপনে একটি 'লড়াই উৎসব' অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে প্রত্যেকে পুরুষ, মহিলা ও শিশুরা অংশ নেন।
* 'সাইলেন্ট নাইট' ইতিহাসের সর্বাধিক রেকর্ড করা ক্রিসমাসের গান, যেটি প্রায় ৭৩৩ টি ভিন্ন ভার্সনে কপিরাইটযুক্ত গান রয়েছে ১৯৭৮ সাল থেকে।
* অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে পপ সংস্কৃতিতে সান্তা ক্লজের পরিচিতি ঘটে। নিউইয়র্কের একটি সংবাদপত্র ডেনমার্কের ঐতিহ্যের একটি খবর প্রকাশ করেছিলেন, যেখানে উল্লেখ ছিল একজন ব্যক্তির কথা। এই ব্যাক্তি সেই সম্প্রদায়ের মধ্যৈ লাল এবং সাদা পোশাক পরে এবং প্রতি বছর বাচ্চাদের কাছে একটি ব্যাগে করে উপহার পৌঁছে দিতেন।