
আজ ক্রিসমাস। খ্রিস্টধর্মের সবথেকে বড় উৎসবগুলির মধ্যে একটি হল আজ। প্রতিবছর ২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন হিসাবে পালন করা হয়। এই দিনটিকে বড়ই পবিত্র বলে মনে করেন এই ধর্ম মেনে চলা মানুষেরা।
আর প্রতিবছর যিশুর জন্মদিন এলেই একটা প্রশ্ন নিয়ে আলোড়ন শুরু হয়ে যায়। সকলেই জানতে চান, কীভাবে ভার্জিন মেরির গর্ভ থেকে জন্ম নিয়েছিলেন যিশু? এর পিছনে কোন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে? আর আজকের নিবন্ধটিতে এই বিষয়টার উত্তর দেওয়া হল।
যিশুর জন্ম কথা
বাইবেল অনুসারে, প্রায় ২ হাজার বছর আগে জন্ম নিয়েছিলেন ভগবান যিশু। তার জন্ম হয়েছিল নাসরত নগরের মেরি নামের এক যুবতীর গর্ভে। একদিন গ্যাব্রিয়েল নামের একটা দেবদূত মেরির সামনে প্রকট হয়েছিলেন। উনি মেরিকে জানিয়েছিলেন, আপনার গর্ভে এক পুত্রের জন্ম হবে। যাঁর নাম রাখা হবে যিশু। দেবদূত মেরিকে এটাও বলেছিলেন যে সেই পুত্রটি হবে ঈশ্বরের। তিনি মানব সমাজের কল্যাণ করবেন। মানুষকে উদ্ধার করবেন। এই সময় মেরির বাগদান হয়ে গিয়েছিল জোসেফ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। তাঁদের বিয়ের আয়োজন চলছিল।
মেরি দেবদূতের এই বাণী সম্পর্কে জোসেফকে বুঝিয়ে বলেন। কিন্তু তিনি এই কথাটা বিশ্বাস করেননি। উল্টে তিনি খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে দেবদূত গ্যাব্রিয়েল তাঁর সামনে প্রকট হন। তিনি জোসেফকে জানান যে মেরি ঈশ্বরের কৃপায় গর্ভবতী হয়েছেন। তিনি এটাও জানান যে মেরির গর্ভে যিশু নামের এক পুত্রের জন্ম হবে। সেই সন্তান সংসারের সব পাপ থেকে মুক্ত করবেন।
সেই রাতেই মেরির সামনে দেখা দেন এক পরী। তিনি মেরিকে যিশুর সম্পর্কে বলেন। মেরি তখন জিজ্ঞেস করেন, আমি তো ভার্জিন, আমার পুত্র হবে কী করে? তখন পরী উত্তর দেন, পরমাত্মার শক্তি তোমার অন্দরে প্রবেশ করবে। যার ফলে এক বালকের জন্ম হবে। এই কারণেই তাকে ঈশ্বরের পুত্র বলে সম্মোধন করা হবে। এই বার্তা দিয়েই পরী চলে যান।
আর এই কারণেই যিশুকে কুমারী মেরির সন্তান বলা হয়। তিনি মানব জাতিকে পাপের হাত থেকে মুক্তি দিতে এসেছিলেন। বাইবেলে যিশুর অলৌকিক জন্মের বিস্তৃত বিবরণ মেলে। খ্রিস্ট ধর্ম এই গোটা ঘটনায় বিশ্বাসী। তাই সারা বিশ্বেই এই দিনটা ধূমধাম করে পালন করা হবে।