Advertisement

Dhanteras 2025: বাঙালির ধনতেরাস মানে সোনা-চাঁদি কেনা নয়, আসলে 'দেব ডাক্তারের' পুজো

ধনতেরাসে সোনা কেনার হিড়িক অবাঙালিদের দেখাদেখি বাঙালিদের মধ্যেও চালু হয়েছে। কিন্তু জানেন কি ধনতেরাসের সঙ্গে সোনা কেনার কোনও সম্পর্ক নেই। রয়েছে এক ডাক্তারের কাহিনি। কে তিনি?

ধনতেরাস নিয়ে কী ব্যাখ্যা পুরাণ গবেষকের? ধনতেরাস নিয়ে কী ব্যাখ্যা পুরাণ গবেষকের?
রূপসা ঘোষাল
  • কলকাতা ,
  • 14 Oct 2025,
  • अपडेटेड 7:02 PM IST
  • ধনতেরাসে সোনা কেনার হিড়িক পড়ে বাঙালিদের মধ্যেও
  • এই দিনটির সঙ্গে সোনা কেনার সম্পর্ক নেই
  • নেপথ্যে রয়েছে এক ডাক্তারের কাহিনি

শনিবার, ১৮ অক্টোবর পালিত হবে ধনতেরাস। দেশের প্রতিটি প্রান্তেই এই দিন সোনা কিংবা ঘরের কোনও না কোনও জিনিস কেনার চল রয়েছে। মূলত উত্তর এবং পশ্চিম ভারতে এই রীতি প্রচলিত থাকলেও বাঙালিদের মধ্যেও এই ধনতেরাস পালনের হিড়িক পড়ে যায়। অনেকেই সোনা কিংবা রুপোর কয়েন কেনেন। অথবা নিদেপক্ষে ঘরের জন্য নতুন একটি ঝাঁটা কিনে থাকেন। তবে জানেন এই ধনতেরাসের সঙ্গে বাঙালিদের সোনা কেনার কোনও সম্পর্ক নেই। বরং এই দিন পালন করার নেপথ্যে রয়েছে বিখ্যাত এক ডাক্তারের কাহিনি। কে তিনি? 

কাকে স্মরণ করে পালিত হয় ধনতেরাস?

bangla.aajtak.in-এ ধনতেরাসের নেপথ্যের পৌরাণিক কাহিনীর ব্যাখ্যা করলেন পুরাণ গবেষক সুচেতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'ধনতেরাসের দিনটিকে পূরাণে বলা হত যম ত্রয়োদশী। সেই হিসেবে যমের পুজো করা হয় কারণ তিনি নরক কিংবা মৃত্যুলোকের রাজা।' বিশদে ব্যাখ্যা দিয়ে পূরাণ গবেষক বলেন, 'ধনতেরাসের দিনটিতে সোনা কিনতেই হবে, এমন বলা হয়। কিন্তু ধনতেরাস আসলে চিকিৎসক ধন্বন্তরীকে স্মরণ করে পালিত হয়। এই দিনটিকে বলা হয় ধন্বন্তরী ত্রয়োদশী। বড় বৈদ্য ছিলেন উনি। ওঁকে স্মরণ করে ত্রয়োদশীতে শাক খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু যেহেতু রাতের পর কেউ শাক খায় না তাই আমরা পরের দিন দুপুরে তা খাই। বাড়ি বাড়ি মা-ঠাকুমারা তাই ভূত চতুর্দশীর দিন ১৪ শাক রান্না করেন।'

পুরাণের ডক্টর্স ডে

মূলত ধন্বন্তরী বৈদ্যকে স্মরণ করে ১৪ শাক খাওয়া হয় যাতে শরীরে কোনও রোগ বাসা না বাঁধে, এমনটাই প্রাচীণ রীতি ছিল বলে জানাচ্ছেন পুরাণ গবেষক। সুচেতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমাদের দেশে যত কবিরাজ, বৈদ্য, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা ছিলেন তাঁরা ধনতেরাসের দিন ধন্বন্তরীকে পুজো করেন। পরের দিন করেন যমের পুজো। এখন তাঁদের সংখ্যা অনেকটাই কম।' এর কারণও ব্যাখ্যা করেছেন গবেষক। তাঁর কথায়, 'যম হচ্ছেন মৃত্যু অর্থাৎ নেতিবাচক প্রতীক। তাঁকে যেদিন পুজো করা হচ্ছে তার আগে ইতিবাচক প্রতীক কারও পুজোও করা হয়। যমের থেকে আমাদের যিনি দূরে নিয়ে যাবেন, তিনি হলেন চিকিৎসক। তাই ধন্বন্তরীর পুজো করা হয়। আর তাই ধন্বন্তরী ত্রয়োদশী হল পৌরাণিক যুগের ডক্টর্স ডে। এর সঙ্গে সোনা কেনার কোনও সম্পর্ক নেই। বরং ধনতেরাসের সঙ্গে আমাদের বাঙালিদের ১৪ শাক খাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে।'

Advertisement


 

Read more!
Advertisement
Advertisement