দুর্গাপুজো শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দীপাবলির কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে যায়। প্রায় গোটা দেশে পালিত হয় এই দীপাবলি বা দিওয়ালি। এই উৎসব আসলে অন্ধকারের উপর আলো এবং মিথ্যার উপর সত্যের জয়ের প্রতীক। এবছর দীপাবলি পালিত হবে ২০ অক্টোবর, সোমবার। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, প্রতি বছর কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে দীপাবলি পালিত হয়।
দীপাবলির আগে ঘর পরিষ্কার করা শুভ বলে মনে করা হয়। কারণ বিশ্বাস করা হয়, দেবী লক্ষ্মী পরিষ্কার বাড়িতে আসেন। এর জন্য বাস্তুশাস্ত্রেরও বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। বলা হয় যে বাড়ির কিছু নির্দিষ্ট জায়গা সম্পূর্ণ পরিষ্কার রাখলে সুখ, সমৃদ্ধি এবং আশীর্বাদ আসে।
উত্তর-পূর্ব দিক
উত্তর-পূর্ব দিকটি সবচেয়ে পবিত্র বলে বিবেচিত। কারণ এটি দেবতাদের দিক। দীপাবলির আগে, এদিকে বিশেষভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করুন। এখানে কোনও মন্দির বা উপাসনালয় স্থাপন করা শুভ বলে মনে করা হয়। পরিষ্কার করার সময়, জলের উপাদানটি মনে রাখবেন এবং প্রতিদিন এই জায়গায় একটি প্রদীপ জ্বালান এবং জল ছিটিয়ে দিন। বিশ্বাস করা হয় যে, উত্তর-পূর্ব কোণ নোংরা বা এলোমেলো থাকলে দেবী লক্ষ্মী ঘরে প্রবেশ করতে পারবেন না।
ব্রহ্মস্থান (ঘরের কেন্দ্র)
ঘরের কেন্দ্রস্থলকে 'ব্রহ্মস্থান' বলা হয় এবং এটিকে বাড়ির শক্তি কেন্দ্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়। দীপাবলির আগে, এই জায়গাটি পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। এই জায়গাটি পরিষ্কার এবং খোলা রাখলে ঘরে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং মন খুশি থাকে।
পূর্ব দিক
পূর্ব দিক হল সেই দিক যেখানে সূর্যের আলোর প্রথম রশ্মি ঘরে প্রবেশ করে। এই দিকটি পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীপাবলির আগে, পূর্ব দিকের দেওয়াল, জানালা এবং দরজাগুলি ভাল ভাবে পরিষ্কার করুন। যদি ইচ্ছে হয়, হালকা রঙের বা হলুদ পর্দা লাগান। সকালের সূর্যের আলো ঘরে প্রবেশ করতে দিন। এটি ইতিবাচকতা বৃদ্ধি করে।
উত্তর দিক (ধন ও সমৃদ্ধির দিক)
উত্তর দিকটিকে সম্পদ ও সমৃদ্ধির অধিপতি দেবতা কুবেরের দিক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। দীপাবলির আগে এই দিকটি বিশেষভাবে পরিষ্কার করা উচিত। যদি ইচ্ছা হয়, তাহলে এই দিকে সবুজ গাছপালা রাখা যেতে পারে, যা ঘরে অর্থের প্রবাহ বজায় রাখবে এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা আনবে।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)