বাংলায় শারদীয়া দুর্গাপুজোর আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আরাধনা করা হয়।ঘরে ঘরে এক চিরন্তন প্রার্থনা। প্রায় প্রতি ঘরে ঘরেই দেবী লক্ষ্মীর পুজা হয়ে থাকে। লক্ষ্মী হলেন ধন সম্পত্তির দেবী। ধন সম্পদের আশায় ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো হয়ে থাকে।.নারী-পুরুষ উভয়েই এই পুজোয় অংশ গ্রহণ করেন।
সারা বছর পুজো হলেও কোজাগরী পূর্ণিমায় পুজোই বেশি প্রচলিত
অনেকেই সারা বছর প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীর পুজো করে থাকেন। এছাড়া শস্য সম্পদের দেবী বলে ভাদ্র সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি ও চৈত্র সংক্রান্তিতে এবং আশ্বিন পূর্ণিমা ও দীপাবলীতে লক্ষ্মীর পুজো হয়। তবে সবচেয়ে বেশি প্রচারিত ও বন্দিত আশ্বিন মাসের কোজাগরী পূর্ণিমার পুজোয়।
লোহার বাসনে প্রসাদ নয়
লোহার বাসনে প্রসাদ দেবেন না লক্ষ্মী পুজোর দিন, মাকে লোহার বাসনে প্রসাদ অর্পণ করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন শাস্তজ্ঞরা। এমনকি এদিন, ভোগ রান্নায় মাটির বাসন ব্যবহারেরও পারমর্শ দিয়ে থাকেন অনেকে।
তুলসি পাতা, নৈব নৈব চ
তুলসি পাতা অনেকের মতে, তুলসি যেহেতু নারায়ণের পুজোয় ব্যবহৃত হয়, তাই এই পাতাকে লক্ষ্মীদেবীর সতীন বলে মানা হয়। সেজন্য লক্ষ্মীপুজোয় তুলসী পাতা অপর্ণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন শাস্ত্রজ্ঞরা। প্রদীপ কোন দিকে থাকবে? পুজোর সময় লক্ষ্মীর বাম দিকে যেন মাটির প্রদীপ ও ধূপ থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে। লক্ষ্মীপুজোর সময় এমন আচার অত্য়ন্ত প্রাসঙ্গিক বলে দাবি অনেকেরই।
সাদা ফুল ভুলেও না
সাদা ফুলে পুজো নয়! সাদা ফুল দিয়ে লক্ষ্মীর আরাধনা করবেন না। এমনই পরামর্শ দিয়েছেন জ্যোতিষবিদরা। কোজাগোরী লক্ষ্মীপুজোর দিন মা লক্ষ্মীকে লাল ফুলে পুজো করলে বাড়ির অলক্ষ্মী দূর হয় বলে দাবি শাস্ত্রজ্ঞদের।