
হিন্দু ধর্মে মোক্ষদা একাদশীর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এটি বছরের অন্যতম পবিত্র একাদশী হিসেবে বিবেচিত। এই দিনটি বিশেষভাবে ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে উপবাস ও পূজা করলে সমস্ত পাপ মোচন হয় এবং মুক্তি লাভ হয়। মোক্ষদা একাদশীতে তুলসীর পূজা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। ভগবান বিষ্ণুর কাছে তুলসী অত্যন্ত প্রিয়, এবং বাড়িতে তুলসী রোপণ ও পূজা করলে শান্তি, সুখ, সমৃদ্ধি এবং ইতিবাচক শক্তি আসে। এই দিনে তুলসী পূজা করার সময় কোনও ভুল করা সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিকর বলে বিবেচিত হয়। যদি আচার-অনুষ্ঠানে কোনও ত্রুটি থাকে বা নিয়ম মেনে না চলা হয়, তাহলে কেবল পূজার ফলই অসম্পূর্ণ থাকে না, বরং ভগবান বিষ্ণু এবং দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদও বঞ্চিত হয়।
মোক্ষদা একাদশী কখন?
এই বছর, ১ ডিসেম্বর মোক্ষদা একাদশী পালিত হবে। বিশ্বাস করা হয় যে মোক্ষদা একাদশীর উপবাস করলে পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং মোক্ষলাভ হয়।
তুলসী সম্পর্কিত ভুল: মোক্ষদা একাদশীতে কখনও তুলসী গাছকে অসম্মানজনকভাবে স্পর্শ করবেন না বা এর পাতা নষ্ট করবেন না। পূজা করার সময়, পরিষ্কার হাতে তুলসী স্পর্শ করুন। মোক্ষদা একাদশীতে তুলসীকে জল অর্পণ করবেন না। আপনি এই দিনে ফুল বা চালের দানা অর্পণ করতে পারেন। পূজায় ব্যবহারের জন্য, একদিন আগে তুলসী পাতা ছিঁড়ে ফেলুন। এই দিনে তুলসী এবং ভগবান বিষ্ণুর পূজা করার সময় নিয়মকানুন মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি করলে জীবনে সমৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, মানসিক শান্তি এবং আধ্যাত্মিক সুবিধা আসে।
একাদশীতে কী করবেন
ভগবান হরির নাম জপ করুন - একাদশীতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল ভগবান বিষ্ণুর নাম জপ করা। আপনি বাড়িতে বা মন্দিরে ধ্যান এবং স্তোত্র গাওয়ার মাধ্যমে "ওঁ নমো নারায়ণায়" বা অন্যান্য বিষ্ণু মন্ত্র জপ করতে পারেন। এটি করলে মানসিক শান্তি, মানসিক শক্তি এবং আধ্যাত্মিক শক্তি বিকাশ হয়।
প্রসাদ অর্পণ করুন - এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে ক্ষীর, পঞ্চামৃত, ফল, তুলসী পাতা এবং মিষ্টি নিবেদন করা অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয়। বিশেষ করে ক্ষীর অত্যন্ত পবিত্র বলে বিবেচিত হয় কারণ এটি ভগবান বিষ্ণুর প্রিয়। পরিবারের সকলের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা এবং সম্মানের সাথে গ্রহণ করাও উপকারী।
তুলসীকে প্রদক্ষিণ করুন: একাদশীতে তুলসীকে প্রদক্ষিণ করা বিশেষভাবে ফলপ্রসূ। ধ্যান এবং মন্ত্র জপ করার সময় তুলসীকে প্রদক্ষিণ করুন। এটি করলে কেবল ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে না বরং পাপও বিনষ্ট হয়।
দান এবং সেবা করুন: এই দিনে অভাবীদের খাদ্য, বস্ত্র বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দান করাও বিশেষ পুণ্য বয়ে আনে।