পুজো পুজো করে দশমী প্রায় চলেই এল। আবার এক বছরের প্রতীক্ষা। তার উপর অনেকগুলো টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে মন খারাপ তো বটেই। তবে মন খারাপের সময়কেও সদর্থক উপায়ে কাজে লাগানো যায়। তার উপর কিছু সহজ উপায় আছে, যাতে বিজয়া দশমীতে সহজে বাড়িতে বা নিজেদের কোষাগারে খরচ হওয়ার সঙ্গে আরও বেশি অর্থাগম ও ভাগ্যের উন্নতি ঘটতে পারে। সাতটি সহজ পদ্ধতি মানলে দ্রুত ভাগ্য বদলে দেওয়া সম্ভব।
কীভাবে ফিরবে ভাগ্য
আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের দশমী তিথিতে দেবী তিথিতে বাপের বাড়ি থেকে ফের কৈলাসের পথে পাড়ি দেন।দুর্গা পুজোর চারদিনের পর মাকে নদীপথে বাপের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করেন আপামর পুজোকর্তারা। বিজয়া দশমী তিথিতে সকল অশুভ শক্তির বিনাশ হয়। তবে পাশাপাশি কপাল ফেরাতে হলে বিজয়া দশমীর তিথি অত্যন্ত শুভ। এই দশমীতে মায়ের কৃপার সঙ্গে কিছু টোটকা বা পদ্ধতি অবলম্বন করলে ভাগ্য ফিরতে বাধ্য। সাত টোটকায় কপাল ফেরাতে হলে এইবেলা জেনে নিন।
এক- যে কোনও মন্দির বা মণ্ডপে দশমীর পুজোর অঞ্জলি দেওয়ার সময় সাদা বা নীল নীলকণ্ঠ ফুল মা দুর্গাকে অর্পণ করুন। নীলকণ্ঠ পুলকে অনেকে অপরাজিতা ফুলও বলেন। ভাগ্যের পরিবর্তন দ্রুত টের পাবেন।
দুই- দশমীর দিন সকালে দশমী পুজো হয়ে যাওয়ার পর, মায়ের ঘটের কাছ থেকে একটি পদ্মফুল নিয়ে এসে হলুদ কাপড়ে মুড়ে বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে ঝুলিয়ে দিন। দেখুন ম্যাজিকের মতো কাজ হবে।
তিন- দশমীর সকালে মায়ের মন্দিরে বা মূর্তির কাছে যেতে হবে। যেখানে পুজো হয়েছে, সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে সিঁদুর ভরা কৌটো। সেই ভরা কৌটো থেকে কিছুটা সিঁদুর মায়ের পায়ে দিয়ে বাকিটা মায়ের চরণে ছুঁইয়ে ফেরত নিয়ে আসতে হবে। সেই সিঁদুর সারা বছর বাড়ির সকলে শুভকাজে যাওয়ার সময় বা যে কোনও সময় স্নান সেরে ব্যবহার করতে হবে।
চার- দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন হয়ে যাওয়ার পর, রাতে একটি পাত্রে চন্দন, সিঁদুর, কর্পূর, একটি পান এবং গো-চনা নিয়ে একসঙ্গে বেটে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। তার পর ঘরের ভেতরে যে কোনও পবিত্র স্থানে সেই মিশ্রণের পাত্রটির সামনে একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে সারা রাত রেখে দিতে হবে। পর দিন সকালে স্নান করে উঠে পর পর সাতদিন সেই মিশ্রণটি্র টিকা কপালে পরুন। অর্থভাগ্য ভালো হবে।
পাঁচ- দশমীর দিন বেসনের লাড্ডু নিয়ে এসে কালো কুকুরকে খাওয়ান। বাড়িতে বানানো হলে ভাল, নইলে কেনাও চলবে। তবে দেখতে হবে যেন শুদ্ধ হয়।
ছয়- বিজয়া দশমীর দিন সকালে রাম মন্দিরে যান এবং সেখানে গিয়ে একটি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালুন।
মন্দির বা রীতি মেনে পুজো হলে সেখানেই ফলবে টোটকা
তবে মাথায় রাখতে হবে, মন্দির বা যে সমস্ত পুজো মণ্ডপে নিয়ম মেনে দশমীতেই সমস্ত বিধি মানা হচ্ছে, সেসব জায়গা থেকেই নিয়মগুলি পালন করতে হবে। অনেকে থিম পুজোর খাতিরে আরও দুএকদিন প্রতিমা রেখে দেন। সেগুলি থেকে নিয়ম করলে, লাভ হবে না।