২০২৫ -র দ্বিতীয় মাস চলছে। গ্রহ- নক্ষত্রের অবস্থান- গতিবিধি পরিবর্তনের উপর যেমন, সমস্ত রাশির জাতক- জাতিকাদের ভাল- মন্দ নির্ভর করে, সেরকমই সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণের ফলেও অনেক কিছু নির্ভর করে। গত বছরের মতো ২০২৫ সালেও মোট চারটি গ্রহণ হবে- দুটি সূর্যগ্রহণ ও দুটি চন্দ্রগ্রহণ। জেনে নিন কবে, কখন, কোথায় কোন গ্রহণ হবে।
প্রথম চন্দ্রগ্রহণ
বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ হবে ১৩- ১৪ মার্চ। এটি হল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। এদিন চাঁদ সম্পূর্ণরূপে পৃথিবীর ছায়ায় ঢেকে যাবে। এটি 'ব্লাড মুন' নামেও পরিচিত। ইউরোপ, এশিয়ার অধিকাংশ, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা এবং আমেরিকা থেকে এই গ্রহণ দেখতে পাবে। তবে ভারত থেকে এই গ্রহণ দেখা যাবে না, তাই কোনও সূতককাল কার্যকর হবে না এখানে।
চন্দ্রগ্রহণ কী
যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে পৃথিবীর অবস্থান করে এবং যখন চাঁদ পৃথিবীর ছায়া থেকে বের হয় তখন চন্দ্রগ্রহণ হয়। পৃথিবীর জন্য যখন সূর্যের আলো পুরোপুরি ঢাকা পড়ে তখন একে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়। তবে যখন চাঁদের একটি অংশ ঢাকা পড়ে তখন একে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ বলে।
পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ
পৃথিবীর জন্য যখন সূর্যের আলো পুরোপুরি ঢাকা পড়ে তখন একে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়।
প্রথম সূর্যগ্রহণ
বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ হবে ২৯ মার্চ। এটি আংশিক সূর্যগ্রহণ। গ্রহণের সময় শুধুমাত্র সূর্যের একটি ভগ্নাংশ চাঁদ দ্বারা অবরুদ্ধ হবে। ইউরোপ, উত্তর এশিয়া, উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকার একটি বড় অংশ এবং উত্তর দক্ষিণ আমেরিকার কিছু অংশ এই গ্রহণ দেখা যাবে। ভারত থেকে এই গ্রহণও দেখা যাবে না, তাই কোনও সূতককাল কার্যকর হবে না এখানে।
সূর্যগ্রহণ কী
পৃথিবী, চন্দ্র ও সূর্য যখন একই সরলরেখায় অবস্থান করে এবং চন্দ্র, পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে এসে ছায়ার সৃষ্টি করে তখন সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছায় না। এই মহাজাগতিক ঘটনাকেই সূর্যগ্রহণ বলে।
আংশিক সূর্যগ্রহণ
যখন চাঁদের জন্য সূর্যের আলো পৃথিবীতে আসতে বাধা পেলেও, একটা অংশের আলোয় শুধুমাত্র বাধা পায়, তখন এই ধরনের সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। অর্থাত্ এক্ষেত্রে সূর্যের একটা অংশ চাঁদের জন্য ঢাকা পড়ে আর বাকি অংশ দেখা যায়। এই আংশিক গ্রহণে সূর্যকে আধ খাওয়া ফলের মতো দেখতে লাগে।