Advertisement

Gangasagar Mela 2025: গঙ্গাসাগর মেলা কবে থেকে শুরু-পুণ্যস্নানের শুভ মুহূর্ত ঠিক কখন? রইল সব তথ্য

শুরু হয়েছে পৌষ মাস। আর পৌষ সংক্রান্তি মানেই গঙ্গাসাগর মেলা। শুধু বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষই নন, অন্যান্য রাজ্য থেকেও কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় জমান গঙ্গাসাগর মেলায়। সাগরের জলে একবার ডুব দিয়ে লাভ করতে চান পুণ্য। আসেন বহু সাধুসন্ত। এককথায় বলতে গেলে পৌষ সংক্রান্তিকে কেন্দ্র করে গোটা গঙ্গাসাগর হয়ে ওঠে এক মিলন ক্ষেত্র।

 গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান কতক্ষণ? গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান কতক্ষণ?
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 18 Dec 2024,
  • अपडेटेड 10:58 AM IST

শুরু হয়েছে পৌষ মাস।  আর পৌষ সংক্রান্তি মানেই গঙ্গাসাগর মেলা। শুধু বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষই নন, অন্যান্য রাজ্য থেকেও কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় জমান গঙ্গাসাগর মেলায়। সাগরের জলে একবার ডুব দিয়ে লাভ করতে চান পুণ্য। আসেন বহু সাধুসন্ত। এককথায় বলতে গেলে পৌষ সংক্রান্তিকে কেন্দ্র করে গোটা গঙ্গাসাগর হয়ে ওঠে এক মিলন ক্ষেত্র।

প্রতিবারের মতো এবারেও গঙ্গাসাগর মেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে প্রশাসন। মেলা যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায়, সেই কারণে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত  হয়। সেখানে দূর দূরান্ত থেকে আসা পুণ্যার্থীদের যাতায়াত, স্বাস্থ্য পরিষেবা, নিরাপত্তা-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। একইসঙ্গে মেলার দিনক্ষণ ও পুণ্যস্নানের সময়ও জানিয়ে দেওয়া হয়।

 

কবে শুরু হচ্ছে মেলা?
প্রতি বছরের মত নতুন বছরের শুরুতেই অনুষ্ঠিত হবে গঙ্গাসাগর মেলা।  ২০২৫ এর জানুয়ারির ৮ থেকে ১৭ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা। 

 পূণ্যস্নানের সময় কখন?
মকর সংক্রান্তি লাগছে  ১৪ জানুয়ারি দুপুর ২টো ৫৮ মিনিটে। পূণ্যস্নানের সময় লাগছে সকাল ৬টা ৫৮ মিনিট থেকে ১৫ জানুয়ারি সকাল ৬টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত।

মুখ্যমন্ত্রী যাবেন গঙ্গাসাগরে
নবান্নে গঙ্গাসাগর মেলা প্রসঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান আগামী ৫ জানুয়ারি গঙ্গাসাগরের পূণ্যার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে বাবুঘাটে যাবেন তিনি।  ৬-৮ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর সফরে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

গঙ্গাসাগরের যাতায়াত সুবিধার্থে বিশেষ ব্যবস্থা
এ বার প্রায় আড়াই হাজার বাস, ৩২টি ভেসেল, ১০০টি লঞ্চ এবং ২১টি জেটি থাকবে। ওই সময়ে রেলও অতিরিক্ত এবং বিশেষ ট্রেন চালাবে বলে জানিয়েছে। তা ছাড়া বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ১২ হাজার পুলিশ, জিপিএস ও স‍্যাটেলাইট নজরদারি, আশপাশের হাসপাতালগুলিতে ৫০০-র বেশি শয‍্যা, চিকিৎসক, নার্স, আইসিইউ, অ‍্যাম্বুল‍্যান্স, ওয়াটার অ‍্যাম্বুল‍্যান্স, দমকলের ব্যবস্থা থাকবে।

গঙ্গাসাগরের মাহাত্ম্য
কথায় বলে, 'সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার'। অর্থাত্‍ সব তীর্থে বারবার গিয়ে যে পূণ্যলাভ হয়, গঙ্গাসাগরে মাত্র একবার সেই পরিমাণ পূণ্য লাভ করা সম্ভব হয়। হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত মাহাত্ম্যপূর্ণ এই তীর্থস্থান। গঙ্গা নদী এখানে সাগরে এসে মিশেছে। তাই এই স্থানের নাম গঙ্গাসাগর। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় কপিল মুনির আশ্রম প্রাঙ্গনে ৮ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে গঙ্গাসাগর মেলা। এই বছর অন্তত ৪০ লক্ষ পূণ্যার্থী আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মেলায় বহু মানুষের ভিড়ে যাতে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে না যায় তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্ছিদ্র রাখার চেষ্টা করেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন। কুম্ভ মেলার পরে গোটা গঙ্গাসাগরেই কোনও একটি উত্‍সব উপললক্ষ্যে এত মানুষ জড় হন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন খুঁটিয়ে দেখেন।

Advertisement

 গঙ্গাসাগরের পৌরাণিক কথা
পুরাণ অনুসারে অযোধ্যার ইক্ষাকু বংশের রাজা ছিলেন সাগর। সাগর রাজার অশ্বমেধ যজ্ঞের ঘোড়া চুরি করে গঙ্গাসাগরে কপিল মুনির আশ্রমের কাছে সেগুলি লুকিয়ে রাখেন দেবরাজ ইন্দ্র। সেই ঘোড়া খুঁজতে গিয়ে কপিল মুনির রোষের মুখে পড়েন সাগর রাজার ৬০ হাজার পুত্র। অভিশাপ দিয়ে তাঁদের ভষ্ম করে দেন কপিল মুনি। সাগর রাজার নাতি তাঁর পূর্বপুরুষদের প্রাণ ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করলে কপিল মুনি তাঁকে বলেন গঙ্গা নদীকে স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নিয়ে আসতে। গঙ্গার পূণ্যস্পর্শে রাজার ৬০ হাজার পুত্র প্রাণ ফিরে পাবেন। কিন্তু স্বর্গের নদী তীব্র গতিতে ঝাঁপিয়ে পড়লে পৃথিবী ভেসে যাবে, এই আশঙ্কায় মহাদেবের দ্বারস্থ হন ভগীরথ। তখন শিব তাঁর জটায় গঙ্গাকে ধারণ করে নেন এবং একটু একটু জল ছাড়েন তিনি। সেই কারণে মহাদেবের জটায় গঙ্গার স্থান। মকর সংক্রান্তিতেই গঙ্গাসাগরে স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নামেন গঙ্গা।

Read more!
Advertisement
Advertisement