১৮টি পুরাণের অন্যতম গরুড় পুরাণ। এই পুরাণে বলা হয়েছে কোনও ব্যক্তি তাঁর কৃতকর্মের জন্য কী কী শাস্তি পান! এছাড়াও কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে গরুড় পুরাণ পাঠ করা হয়। জন্ম-মৃত্যুর কথা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে গরুড় পুরাণে। এতে স্বর্গ, নরক, পাপ,পুণ্য, নীতি, নিয়ম এবং ধর্মের কথা সুস্পষ্টভাবে লেখা। গরুড় পুরাণ অনুসারে, যখন কোনও ব্যক্তির মৃত্যু ঘনিয়ে আসে তার আগে কয়েকটি লক্ষণ দেখা দেয়। যাতে সেই ব্যক্তি পরিবারের সঙ্গে শেষ সময়টুকু কাটাতে পারেন। ইচ্ছাপূরণ করতে পারেন। বা পরিবারের সদস্যদের কাছে তিনি কোনও শেষ ইচ্ছা বা অসমাপ্ত কাজ রেখে যেতে পারেন তিনি। কোন ৫ লক্ষণ দেখলে বোঝা যায় মৃত্যু আসন্ন-
সারাজীবনের কাজ স্মরণ- মানুষের মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এলে হঠাৎ তাঁর মন খারাপ হয়ে যায়। হঠাৎ নিজের খারাপ কাজের কথা মনে পড়তে শুরু করে। সেইসঙ্গে না চাইলেও খারাপ স্মৃতি ভুলতে পারেন না। নিজের ভালো কাজগুলির কথাও আসে স্মরণে। এই সংকেত বুঝিয়ে দেয় মৃত্যু আসন্ন।
মৃত্যুর আগে রহস্যময় দরজা- গরুড় পুরাণ অনুসারে, মৃত্যুর আগে মানুষ রহস্যময় দরজা দেখতে শুরু করেন। কেউ আগুন দেখে, কেউ আলো দেখে। যদি কেউ এটা দেখে থাকেন তাহলে তাঁর মৃত্যু ঘনিয়ে এসেছে।
হাতের রেখা বিবর্ণ- মৃত্যুর আগে মানুষের হাতের রেখা খুব অস্পষ্ট হতে শুরু করে। তার পর হাতের রেখা বিবর্ণ হয়ে যায়।
যমদূতের আগমনের অনুভূতি- মৃত্যু আগে যমরাজের দূতের অনুভূতি পান অনেকে। তিনি অনুভব করেন, চারপাশ ঘিরে রেখেছে নেতিবাচক শক্তি।
স্বপ্নে পূর্বপুরুষদের দেখা- গরুড় পুরাণ অনুসারে, মৃত্যুর কয়েকদিন আগে কোনও ব্যক্তি স্বপ্নের মাধ্যমে সংকেত পান। সেই সংকেত আসে পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে। যাঁর মৃত্যু হতে চলেছে,তিনি স্বপ্নে তাঁর পূর্বপুরুষদের দেখেন। যদি স্বপ্নে পিতৃপুরুষকে কাঁদতে বা শোকার্ত অবস্থায় দেখা যায়, তাহলে বুঝবেন ওই ব্যক্তি ধরাধামে কয়েকদিনের অতিথি।