শ্রীমদ্ভাগবত গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিক্ষা বর্ণিত হয়েছে। গীতার এই শিক্ষাগুলি মহাভারতের যুদ্ধের সময় শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে দিয়েছিলেন। গীতায় দেওয়া শিক্ষাগুলি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক এবং মানুষকে জীবনযাপনের সঠিক পথ দেখায়। গীতার বাণী জীবনে গ্রহণ করলে মানুষ অনেক উন্নতি লাভ করে। গীতাই একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যা মানুষকে বাঁচতে শেখায়।
গীতা জীবনে ধর্ম, কর্ম এবং প্রেমের পাঠ শেখায়। গীতার জ্ঞান মানবজীবন এবং জীবনের পরবর্তী জীবন উভয়ের জন্যই উপযোগী বলে বিবেচিত হয়েছে। গীতা একটি সম্পূর্ণ জীবন দর্শন এবং যে ব্যক্তি এটি অনুসরণ করে সে সর্বোত্তম। গীতার মতে, কিছু জিনিসের মূল্য ভবিষ্যতে দিতে হবে।
গীতার শিক্ষা
শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন যে মিথ্যা, প্রতারণা এবং অজুহাত আপনাকে কিছু সময়ের জন্য সুখ দেবে, কিন্তু ভবিষ্যতে আপনাকে এর মূল্য দিতে হবে। তাই জীবনে এই তিনটি জিনিস এড়িয়ে চলা উচিত সবার। শ্রীমদ্ভাগবত গীতায় লেখা আছে যে মানুষের সুখের সময় অহংকারী হওয়া উচিত নয় এবং দুঃখের সময় ঈশ্বরের সঙ্গ ত্যাগ করা উচিত নয়।
ভক্তি এবং আবেগে প্রবাহিত অশ্রু এই সত্যের প্রতীক যে ঈশ্বর আপনাকে স্পর্শ করেছেন। একজন মানুষ যত শক্তিশালীই হোক না কেন, কিন্তু সে ভিতর থেকে কতটা দুর্বল, তা একমাত্র শ্রীকৃষ্ণই জানেন। ঈশ্বর যখন কারো উপর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন, তখন তিনি তাকে মানব রূপ দেন। মানব যোনি অমূল্য কারণ এই রূপে মোক্ষ লাভ করা সম্ভব।
জীবনের এই তিনটি মন্ত্র সবার মনে রাখা উচিত। আনন্দে কখনও কাউকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া উচিত নয়, রাগে কখনও কাউকে উত্তর দেওয়া উচিত নয় এবং দুঃখে কখনও কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। গীতায় লেখা আছে জীবনে অনেক সময় আমরা এমন বড় সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসি যেন কেউ আমাদের সাপোর্ট করছে। এই অদৃশ্য শক্তির নাম ভগবান।