মহাভারত যুদ্ধের সময় ভগবান কৃষ্ণ যে শিক্ষা অর্জুনকে দিয়েছিলেন তার বর্ণনা রয়েছে শ্রীমদ ভাগবত গীতা (Shrimad Bhagwat Geeta)। গীতা সবচেয়ে প্রভাবশালী গ্রন্থ। ভাগবত গীতাকে ভগবানের জ্ঞান বলা হয়। গীতার অমূল্য বাণী মানুষকে জীবন যাপনের সঠিক পথ দেখায়। গীতা জীবনে ধর্ম, কর্ম ও প্রেমের পাঠ শেখায়। গীতা হল জীবনের একটি সম্পূর্ণ দর্শন এবং যে ব্যক্তি এটি অনুসরণ করে সে জীবনে কখনও হতাশ হয় না। শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন, জীবনের প্রকৃত সঙ্গী মাত্র দুজন। একটি আমাদের নিজস্ব কর্ম এবং অন্যটি ঈশ্বর। বাকিরা সবাই এখানে মিলিত হয়েছে এবং এখানেই আলাদা হয়ে যাবে।
শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন যে একা দাঁড়াতে গেলেও সর্বদা ডানের সঙ্গে দাঁড়াও। গীতায় লেখা আছে যে একজনের অতীত ত্যাগ করা উচিত কারণ এর প্রভাব ভবিষ্যতকে কলুষিত করে। গীতা সার-এ, শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন যে প্রতিটি মানুষের জন্য জন্ম এবং মৃত্যুর চক্র জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মানুষের জীবনে একটিই সত্য এবং তা হল মৃত্যু। যে ব্যক্তি এই পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছে তাকে একদিন এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে এবং এটাই এই পৃথিবীর অপরিবর্তনীয় সত্য।
তাই মানুষের কখনই মৃত্যুকে ভয় করা উচিত নয়। মৃত্যু হল জীবনের অমূল্য সত্য। মৃত্যুর ভয় একজন মানুষের বর্তমান সুখকে নষ্ট করে দেয়। সেজন্য মনে কোনও ধরনের ভয় থাকা উচিত নয়। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন দেহ নশ্বর কিন্তু আত্মা অমর। এই সত্য জানার পরও মানুষ তার নশ্বর দেহ নিয়ে গর্ব করে, যা অকেজো। শরীর নিয়ে অহংকার না করে মানুষের উচিত সত্যকে গ্রহণ করা।