Advertisement

সকালে উঠেই গীতার উপদেশ মেনে করুন এই চার কাজ, কখনও অভাব হবে না টাকা-পয়সার

বহু সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করেন, জীবনে শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য কেবল কঠোর পরিশ্রমই যথেষ্ট। তবে শাস্ত্র অনুসারে, শুধুমাত্র কঠোর পরিশ্রম করলেই চলবে না। কিছু সু-অভ্যাস ভাগ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলে।

গীতা উপদেশগীতা উপদেশ
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 07 Dec 2025,
  • अपडेटेड 2:58 PM IST
  • সহজ কিছু অভ্যাস মেনে চললেই জীবনে শান্তি আসতে পারে।
  • অভ্যাসগুলি সমৃদ্ধি, স্বাস্থ্য ও মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
  • গীতায় 'কাল' অর্থাৎ সময়কেই সবচেয়ে শক্তিশালী ও মূল্যবান বলা হয়েছে।

অনেকেই সারা জীবন কঠোর পরিশ্রম করেন, কিন্তু তবুও দেখা যায় গোটা জীবনই তাঁরা দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করছেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, তাঁরা নানা পরিকল্পনাও করেন। কিন্তু সব পরিকল্পনাই ব্যর্থ হয়। ফলে তারা ক্রমেই অস্থির এবং উদ্বিগ্ন হয়ে থাকেন। বহু সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করেন, জীবনে শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য কেবল কঠোর পরিশ্রমই যথেষ্ট। তবে শাস্ত্র অনুসারে, শুধুমাত্র কঠোর পরিশ্রম করলেই চলবে না। কিছু সু-অভ্যাস ভাগ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। গীতায় এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা রয়েছে। সহজ কিছু অভ্যাস মেনে চললেই জীবনে শান্তি আসতে পারে। যা ভাগ্য পরিবর্তনেও অত্যন্ত ইতিবাচক। এই অভ্যাসগুলি সমৃদ্ধি, স্বাস্থ্য ও মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।

সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে ওঠা

গীতায় 'কাল' অর্থাৎ সময়কেই সবচেয়ে শক্তিশালী ও মূল্যবান বলা হয়েছে। যারা এই সময়কে সঠিক ভাবে ব্যবহার করে, কেবল তারাই প্রকৃত সাফল্য লাভ করতে পারে। সূর্যোদয়ের আগের সময়টিকে ব্রহ্মমুহুর্ত বলা হয়। এই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা কেবল ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে শুভ নয়, বৈজ্ঞানিক ও মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকেও অত্যন্ত উপকারী। ব্রহ্মমুহুর্তের সময় ঘুম থেকে ওঠা মনকে তীক্ষ্ণ এবং স্থির করে। পাশাপাশি চিন্তাভাবনাকে আরও স্পষ্ট করে তুলে পরিকল্পনাগুলিকেও সফল করতে সহায়তা করে। এই সময়কে আধ্যাত্মিক অনুশীলন, ধ্যান, যোগব্যায়াম এবং ইতিবাচক চিন্তাভাবনার জন্য সেরা বলে মনে করা হয়। 

ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই ঈশ্বরের নাম উচ্চারণ করুন

ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই মন শান্ত হয়। এই সময়ে ঈশ্বরকে স্মরণ করলে সারা দিন শক্তি বজায় থাকে। রাধে-কৃষ্ণ, সীতা-রাম, অথবা নারায়ণ-নারায়ণের মতো মন্ত্র জপের পর, নিজের হাতের তালুর দিকে তাকান। এই ছোট্ট অভ্যাসটি শুধু বিশ্বাস জাগ্রত করে তাই নয়, বরং আত্মবিশ্বাসও বাড়ায়।

সূর্যদেবকে জল উৎসর্গ করুন

সূর্যদেবকে শক্তি, স্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সকালে তামার পাত্রে সূর্যদেবকে জল উৎসর্গ করা অত্যন্ত শুভ। এটি মনকে স্থিতিশীল করে এবং নেতিবাচক শক্তিকে দূরে রাখে। নিয়মিত জল উৎসর্গ করলে মানসিক চাপ কমে এবং ঘরে ইতিবাচকতা বৃদ্ধি পায়। শান্ত মন থাকলে ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়।

Advertisement

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি ভক্তি ও আরাধনা

গীতায় ভগবান কৃষ্ণ বলেছেন, "মা শরণম ব্রজ," ​​যার অর্থ, "যারা আমার আশ্রয় নেয়, আমি তাঁদের আশীর্বাদ করি।" সকালে শ্রীকৃষ্ণের মূর্তিতে তুলসী পাতা দিলে সেটি অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই প্রক্রিয়া ভগবান কৃষ্ণের আশীর্বাদ নিয়ে আসে।


ইতিবাচক কাজ ও দানশীলতা

সকালে কিছু দান বা সেবা করলে ভাগ্যের উন্নতি হয়। এটি শুধু পুণ্যের পথই খুলে দেয় না, বরং বাড়িতে সমৃদ্ধি এবং ইতিবাচক শক্তিও বৃদ্ধি করে। 

Read more!
Advertisement
Advertisement