সঙ্কট মোচন নামেই পরিচিত হনুমানজি। তিনি তাঁর ভক্তদের সব বিপদ থেকে রক্ষা করে থাকেন। হনুমানজিকে পুজো করার সময় আমরা তাঁকে সিঁদুর চড়িয়ে থাকি। একমাত্র হনুমানজিকে পুজোর সময় সিঁদুর অর্পণ করা হয়। অথচ তিনি পুরুষ তার ওপর ঘোর ব্রহ্মচারি। কিন্তু হনুমানজির মন্দির বা বাড়ির পুজোর ঘরেও যখন হনুমানজির পুজো করা হয়ে থাকে, তখন বজরংবলীকে সিঁদুর অর্পণ করা হয়। কিন্তু এর পিছনে থাকা কারণ কী জানা আছে? কেন হনুমান জিকে সিঁদুর অর্পণ করা হয় আসুন কারণ জেনে নেওয়া যাক।
সিঁদুর দিয়ে পুজো করলে সন্তুষ্ট হন হনুমানজি
কথিত আছে, ভগবান হনুমানকে সিঁদুর দিয়ে পুজো দিলে তিনি সন্তুষ্ট হন এবং তাঁর ভক্তের মনস্কামনা পূর্ণ করেন৷ এছাড়াও, প্রতি মঙ্গলবার হনুমানজি-কে সিঁদুর দিয়ে পুজো দিলে গৃহস্থের মঙ্গল হয় এবং সংসারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না যে, রামভক্ত হনুমান-কে সিঁদুর দান করার পিছনে একটি পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে।
হনুমানকে কেন সিঁদুর দেওয়া হয়?
পুরাণে বলা হয়, একদিন সীতাকে সিঁদুর পড়তে দেখে হনুমান সীতাকে জিজ্ঞেস করেন তিনি কেন সিঁদুর পড়ছেন? উত্তরে সীতা হনুমানকে জানিয়েছিলেন, ঈশ্বর রামের দীর্ঘায়ুর জন্যই সিথিতে সিঁদুর পড়েন তিনি। হনুমান তখন ভাবেন যদি সিঁদুরই তাঁর ঈশ্বরের (রাম) দীর্ঘায়ুর চাবিকাঠি হয় তাহলে তিনিও সিঁদুর পড়বেন। তাই সীতার কথা শুনেই নিজের পুরো শরীরেই সিঁদুর মেখে নেন হনুমান। গুরুর প্রতি শিষ্যের এমন ভালোবাসা ও ভক্তির কথা জানতে পেরে শ্রীরামচন্দ্র হনুমানকে আশীর্বাদ করেন যে, সবাই তাকে সিঁদুর দিয়ে পুজো করবে। আর সেই থেকে আজও ভগবান হনুমানকে সিঁদুর দান করে পুজো করা হয়।
সিঁদুর দান করলে ভক্তের সব ইচ্ছা পূরণ হয়
এরপর থেকেই হনুমান ভক্তরা মনে করেন, বীর হনুমানকে সিঁদুর দান করলে তিনি সেই সিঁদুর নিজের গায়ে মাখেন এবং ভক্তের সমস্ত ইচ্ছে পূরণ করে দেন। এরপর থেকেই হনুমানজির পুজোয় সিঁদুর অর্পণ করা শুভ বলে মনে করা হয়। কারণ এতে হনুমানজি প্রসন্ন হন এবং ভক্তের সব ইচ্ছা পূরণ করেন।