Hanuman Jayanti 2023: বিশ্বাস অনুসারে, হনুমান জয়ন্তীর দিনে অঞ্জনির পুত্র হনুমানের জন্ম হয়েছিল, এই দিনেই বজরঙ্গবলী (Bajrangbali) পৃথিবীতে এসেছিলেন। এই দিনটির তাই একটি বিশেষ ধর্মীয় বিশ্বাস রয়েছে এবং এই দিনটি বজরংবলীর ভক্তদের জন্য অত্যন্ত বিশেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছর চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে হনুমান জয়ন্তী পালিত হয়। পাশাপাশি, এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে কার্তিক অমাবস্যা পাক্ষিকের চৌদ্দতম দিনে এটি উদযাপন করার পরম্পরা রয়েছে। জেনে নিন এই বছর কোন দিন হনুমান জয়ন্তী পালিত হবে এবং কোন মুহুর্তে বজরং বলির পুজো করা যেতে পারে।
হনুমান জয়ন্তী কবে? (When Is Hanuman Jayanti)
এ বছর ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আগামী ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার হনুমান জয়ন্তী পালিত হবে। এবার পূর্ণিমা তিথি শুরু হচ্ছে ৫ মার্চ সকাল ৯.১৯ মিনিটে এবং শেষ হবে ৬ এপ্রিল সকাল ১০.৪ মিনিটে। এদিন পূর্ণ ভক্তি নিয়ে বজরঙ্গবলী পুজো করতে হবে।
হনুমান জয়ন্তী সম্পর্কিত পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, অঞ্জনী নামে এক অপ্সরা একটি অভিশাপের কারণে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তার পুত্রের জন্মের পরেই এই অভিশাপের অবসান হতে পারত। বজরঙ্গবলীর বাবা কেশরী এবং মা অঞ্জনী ১২ বছর ধরে একটি সন্তানের ইচ্ছা রেখেছিলেন, তারপরে ভগবান শিবের পুজো করলে তাদের কোল পূর্ণ হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, বজরংবলী হলেন ভগবান শিবের একাদশতম অবতার এবং তাকে কলিযুগের ঈশ্বরও বলা হয়। হনুমান সর্বদা তার ভক্তদের রক্ষা করেন।
হনুমান জয়ন্তীর গুরুত্ব
ধর্মীয় শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে হনুমান জয়ন্তীর দিন পূর্ণ আচারের সাথে হনুমানজির পূজা করতে হবে। এতে করে ভক্তদের সকল কষ্ট দূর হয়। সাধকদের সকল ইচ্ছা পূরণ হয়। হনুমান জয়ন্তীর দিন পবন পুত্রকে সিঁদুর অর্পণ করতে হবে। সিন্দুর হনুমানজির প্রিয়। এটি করলে আপনার সমস্ত কাজ সফল হবে এবং জীবনে সুখ আসবে। হনুমান জয়ন্তীর দিন হনুমান চালিসা ও বজরংবলী কথা পাঠের বিশেষ গুরুত্বের কথাও বলা হয়েছে। এগুলি পাঠ করলে হনুমানজি শীঘ্রই খুশি হন এবং ভক্তদের আশীর্বাদ করেন।
হনুমান জয়ন্তীতে পুজো
বিশ্বাস অনুসারে, হনুমান জয়ন্তীতে সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করতে হবে। ভক্তরা তাদের আরাধ্য বজরংবলীর পাশাপাশি, শ্রী রাম এবং মাতা সীতারও পুজো করেন। এর পর ব্রতের সঙ্কল্প নেওয়া হয়।
হনুমানজয়ন্তীর দিন বজরংবলীর মূর্তি বা প্রতিমা একটি কাঠের চৌকিতে স্থাপন করুন, যার উপরে একটি হলুদ রঙের কাপড় পেতে দিন। বজরংবলীর সামনে ঘির প্রদীপ জ্বালান, জল ছিটিয়ে কাঁচা দুধ, দই, ঘি ও মধু মিশিয়ে বজরঙ্গবলীকে অভিষেক করুন। ভক্তরা বজরঙ্গবলীর পুজোয় লাল বা হলুদ রঙের কাপড়, সুতো, ফুল, ধূপ, ধূপকাঠি এবং প্রদীপ প্রভৃতি নিবেদন করুন। এরপর হনুমান চালিসা পাঠের পর ভক্তরা পূজা করুন এবং আশীর্বাদ কামনা করুন।
হনুমান জয়ন্তীর দিন এই ভাবে পুজো করুন
হনুমান জয়ন্তীর দিন সকালে স্নান করে পরিষ্কার কাপড় পরিধান করুন। এই দিনে হনুমান ভক্তদের হনুমান চালিসা, বজরং বান, সুন্দর কাণ্ড এবং রামায়ণ পাঠ করা উচিত। হনুমানজিকে সিঁদুরের সঙ্গে জুঁই তেলের টিকা দিতে হবে। এই দিনে লাল রঙের আলো ব্যবহার করুন এবং সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালান।
হনুমান মন্ত্র
ওঁঃ হনুমান নমঃ
ওঁমঃ ভ্রম হনুমান, শ্রী রাম দূতায় নমঃ
ওঁমঃ অঞ্জনেয়া বিদ্মহে বায়ুপুত্রায় ধীমহি তন্নোঃ হনুমানঃ প্রচোদয়া
ওঁমঃ রামদূতয় বিদ্মহে বায়ুপুত্রায় ধীমহি তন্নোঃ মারুতিঃ প্রচোদয়া
ওঁমঃ অঞ্জনিসুতায়া বিদ্মহে মহাবলয়া ধীমহি তন্নোঃ মারুতিঃ প্রচোদয়া
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)