Advertisement

Hanuman Jayanti: বজরংবলির থেকে শিখে নিন এই ৪ গুণ, কঠিন কাজেও সাফল্য নিশ্চিত

বানররাজ কেসরী ও অঞ্জনার ঘরে জন্ম হয়েছিল হনুমান। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন দুরন্ত। পরে কিস্কিন্ধায় তাঁর সঙ্গে দেখা হয় শ্রী রামের। রাবণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রামের সঙ্গ দেন হনুমান। রামভক্ত হনুমান ভক্ত পুজো করেন। তাঁদের বিশ্বাস, এতে কেটে যাবে বাধাবিঘ্ন। হনুমানজি সব কাজেই পেয়েছেন সাফল্য। চলুন জেনে নেওয়া যাক তাঁর সাফল্যের রহস্য। 

Hanuman Jayanti
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 06 Apr 2023,
  • अपडेटेड 1:47 PM IST
  • বৃহস্পতিবার হনুমান জয়ন্তী।
  • হনুমানেরথেকে ৪ শিক্ষা।

বৃহস্পতিবার হনুমান জন্মজয়ন্তী। রামভক্ত হনুমানকে বল ও বুদ্ধির জন্য পুজো করেন ভক্তরা। পবনের পুত্র হনুমান শিবের রুদ্রাবতার। রামভক্ত হনুমান এখনও বেঁচে আছেন বলে ভক্তদের বিশ্বাস। হনুমানজিকে ভগবান শিবের একাদশ অবতার বলে মনে করা হয়। রামভক্ত হনুমানজির জন্ম নিয়ে দু'টি ধর্মীয় বিশ্বাস চালু রয়েছে। প্রথম বিশ্বাস, চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে হনুমানজির জন্ম হয়েছিল। আবার কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতেও হনুমান জয়ন্তী হিসেবে উদযাপিত হয়।

বানররাজ কেসরী ও অঞ্জনার ঘরে জন্ম হয়েছিল হনুমান। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন দুরন্ত। পরে কিস্কিন্ধায় তাঁর সঙ্গে দেখা হয় শ্রী রামের। রাবণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রামের সঙ্গ দেন হনুমান। রামভক্ত হনুমান ভক্ত পুজো করেন। তাঁদের বিশ্বাস, এতে কেটে যাবে বাধাবিঘ্ন। হনুমানজি সব কাজেই পেয়েছেন সাফল্য। চলুন জেনে নেওয়া যাক তাঁর সাফল্যের রহস্য। 

শেখার প্রবল ইচ্ছা- ছোটবেলায় সূর্যদেবকে গুরু হিসেবে চেয়েছিলেন হনুমান। কিন্তু সূর্যদেব না করেন দেন। কারণ তিনি স্থিতিশীল হলে জগতের অকল্যাণ। হনুমান তখন বলেন, আমি আপনার উল্টো অবস্থায় থেকে শিখব। তাতে প্রসন্ন হন সূর্যদেব। তার পর শিক্ষাদান করেন। এ থেকে শিক্ষা মেলে, অবস্থা যেমনই হোক শেখার ইচ্ছা থাকলে পরিস্থিতি বদলাতে বাধ্য। 

লক্ষ্যপ্রাপ্তির জন্য নত হওয়া- বড় লক্ষ্য হলে নানা ধরনের বাধা আসতে পারে। তাই সময় ও পরিস্থিতি দেখে সমাধানের পথ খোঁজা উচিত। হনুমানজিও তাই করতেন। লঙ্কারাজের দরবারে লেজ বড়ো করে নিয়েছিলেন আবার সীতার কাছে গিয়ে তিনিই হয়েছিলেন সেবক।   

আরও পড়ুন- রামের মতো হন এই তারিখগুলিতে জন্মানো ব্যক্তিরা, আত্মবিশ্বাসী-মেধাবী

শক্তির সঠিক ব্যবহার- 'সুষ্ম রূপ ধরি সিয়হি দিখাবা,  বিকট রূপ ধরি লঙ্কা জ্বলাবা'- হনুমান চালিসার এই অংশ থেকে বোধা যায়, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার করা জরুরি। লঙ্কায় মাছির মতো রূপ ধরে প্রবেশ করেছিলেন হনুমানজি। তার পর তাঁর ল্যাজে আগুন ধরানোর পর বিরাট রূপ ধারণ করেছিলেন। এ থেকে শিক্ষা, পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজের শক্তির ব্যবহার করতে হবে। 

Advertisement

কৌশল- বাধা বা সমস্যা যত বড়ই হোক না কেন রণনীতি ঠিক করলে সমাধান সম্ভব। সাফল্য পেতে গেলে বিনম্র ব্যবহার, দূরদর্শিতা ও বুদ্ধিমত্তা থাকা জরুরি। হনুমানজির মধ্যে সব গুণই রয়েছে। লঙ্কায় যে দায়িত্ব নিয়ে গিয়েছিলেন সেটাই পালন করেছেন। চাইলে রাবণের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে পারতেন, তা তিনি করেননি। কারণ সেটা সঠিক কৌশল হত না। তাই যতটুকু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তার গণ্ডিতেই থাকা উচিত। অতিরিক্ত উৎসাহে বেশি কিছু করতে নেই। তাই মাথা ঠান্ডা রাখাটাও দরকার। 


হনুমান পুজোর বিধি 

হনুমান পুজোর আগে স্নান করে পরিষ্কার পোশাক পরিধান করুন। সকালে তামার পাত্রে সূর্যদেবকে জল, সিঁদুর ও লাল ফুল নিবেদন করুন। হনুমানজিকে ফুল থেকে জল নিবেদনের পর সিঁদুর, কুমকুম, ধান, পান, লাল কাপড় অর্পণ করুন। ভোগে দিন লাড্ডু। ঘিয়ের প্রদীপ ও ধূপ জ্বালিয়ে হনুমান চালিসা জপ করুন।   

হনুমান মন্ত্র

হনুমান পুজোর সময় শ্রী হনুমন্তে নমঃ মন্ত্র জপ করুন। 
 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement