জ্যোতিষ মতে, বিশেষ কিছু রাশির জাতক জাতিকার উপর নির্দিষ্ট দেবতাদের আলাদা প্রভাব থাকে। সেই নির্দিষ্ট দেবতার অর্চনা করলে সেই রাশির জাতক জাতিকারা সুফল লাভ করেন। জ্যোতিষ মতে, হনুমানজী, বজরংবলীর পুজো নির্দিষ্ট কিছু রাশির মানুষের জীবনে বড়সড় প্রভাব ফেলে। কারণ বজরংবলী সদয় হলে সেই রাশির ব্যক্তিদের উপর শনি সদয় হন। ফলে তাঁদের জীবনে বাধা বিপত্তি কম আসে। কোনও ভাল কাজ করলে দ্রুত তার সুফলও লাভ করেন।
তাই আসুন, দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন রাশির জাতক জাতিকাদের উপর বজরংবলীর আশীর্বাদ থাকে।
সিংহ রাশি: এই রাশির জাতক জাতিকাদের উপর বজরংবলীর কৃপা থাকে। ফলে নিয়মিত হনুমানজীর পুজো করলে এঁরা যে কোনও বাধা এড়িয়ে সহজে কাটিয়ে উঠতে পারেন। ফলে সিংহ রাশির জাতক জাতিকাদের নিয়মিত হনুমানজীর পুজো করা উচিত। এতে ব্যক্তিগত সম্পর্ক, কেরিয়ার, মানসিক স্বাস্থ্য ইত্যাদি দিক থেকে তাঁরা উপকৃত হন।
বৃশ্চিক রাশি: এই রাশির জাতক জাতিকাদের জীবন নানা ওঠানামার মধ্যে দিয়ে যায়। কয়েক মাস বেশ ভালই সময় কাটে, আবার হঠাৎ চরম দুঃসময় ঘনিয়ে আসে। কিন্তু তা সত্ত্বে বজরংবলীর কৃপায় বহু বাধা কাটিয়ে বেরিয়ে আসতে পারেন বৃশ্চিক রাশির জাতক জাতিকারা। তাই বৃশ্চিক রাশির জাতক জাতিকাদের নিয়মিত হনুমানজীর পুজো করা উচিত।
কুম্ভ রাশি: এই রাশির জাতক জাতিকারাও বজরংবলীর আশীর্বাদ ধন্য হন। আর সেই কারণেই তাঁদের নিয়মিত হনুমানজীর পুজো করা প্রয়োজন। হনুমান চালিশা পাঠ করলেও তাঁরা সুফল পাবেন। এর ফলে তাঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। কেরিয়ার থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ইত্যাদিতে তাঁরা সাফল্য পাবেন।
মেষ রাশি: এই রাশির জাতকদের জীবনেও হনুমানজির বিশেষ কৃপা থাকে। সেই কারণে মেষ রাশির জাতক জাতিকাদের প্রবল আত্মবিশ্বাস থাকে। যেকোনও পরিস্থিতিরই তাঁরা কৌশলে মোকাবিলা করতে পারেন।
কীভাবে পুজো করবেন?
প্রতি মঙ্গল-শনিবার হনুমানজীর পুজো করুন। লাল ও গেরুয়া ফুল দিন। লাড্ডু ও কলা প্রসাদ নিবেদন করুন। হনুমান চালিসা পাঠ করুন।
দ্রষ্টব্য: রাশি সংক্রান্ত প্রতিবেদন জ্যোতিষ ও লোকমতভিত্তিক। এগুলি সম্পাদকীয় বিশ্লেষণ বা সুপারিশ নয়।