তাই হোলির শুভ সময় ঘরে আনুন ৫ জিনিস। দূর হবে নেতিবাচক শক্তি। হোলির শুভ দিনে পাঁচটি বিস্ময়কর জিনিস আনুন ঘরে। নিরসন হবে আপনার অর্থ সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার।
হিন্দু ধর্মে হোলি উৎসবের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হোলিতে পূজিত হন শ্রী কৃষ্ণ ও রাধা। পারিবারিক ও আর্থিক জীবনে কোনও সমস্যা থাকলে হোলির পবিত্র দিনে প্রতিকার করতে পারেন। বাড়ির বাস্তুর সঙ্গে জড়িত ৫জিনিস রাখলে ফিরবে ভাগ্য।
আম বা অশোক পাতা- হোলির দিনে বাড়ির প্রধান দরজার জন্য অবশ্যই আমপাতা বা অশোকপাতার মালা। বাড়ির প্রধান দরজার সামনে আম বা অশোক পাতার মালা টাঙিয়ে দিন। হোলিকা দহনের দিন সকালেই এই কাজটি সেরে ফেলুন। কথিত আছে, বাড়ির মূল দরজায় আম বা অশোক পাতা থাকলে ঘরে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করতে পারে না।
বাস্তু দেবতার ছবি- বাড়িতে বাস্তু ত্রুটি সংক্রান্ত কোনও সমস্যা থাকলে বাস্তু দেবের ছবি বা মূর্তি রাখুন। তা বাড়ির যে কোনও অংশে রাখতে পারেন। বাড়িতে বাস্তু দেবতার উপস্থিতি সমস্ত বাস্তু ত্রুটি দূর করে। হোলির দিনই ছবি বা মূর্তি আনুন।
ধাতব কচ্ছপ- বস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী কচ্ছপ শুভ প্রতীক। হোলির শুভ দিনে পাঁচটি ধাতু দিয়ে তৈরি একটি কচ্ছপ বাড়িতে রাখতে পারেন। এই কচ্ছপের পিঠে শ্রীযন্ত্র ও কুবের যন্ত্র থাকতে হবে। যে বাড়িতে ধাতব কচ্ছপ উত্তর দিকে মুখ করে রাখা হয়, সেখানে অর্থের অভাব হয় না। কচ্ছপটিকে জলের উপরে রাখুন।
পিরামিড-বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, পিরামিডের টাকা টেনে আনার আশ্চর্য ক্ষমতা রয়েছে। যে বাড়িতে বা অফিসে পিরামিড থাকে সেখানে আপনাআপনি খুলে যায় অঢেল সম্পদ পাওয়ার পথ। উদাহরণ- এ দেশের পুরানো মন্দির, যেগুলি দ্রাবিড় শৈলীতে নির্মিত। এর বাইরের আকার পিরামিড আকৃতির। এই ধরনের মন্দিরগুলি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মন্দিরের মধ্ অন্যতম।
বাঁশের চারা- আপনি যদি হোলির দিনে ড্রয়িং রুম বা হলের জন্য একটি বাঁশের চারা নিয়ে আসেন, তবে তা শুভ হবে। কেবল সাত বা এগারোটি বাঁশ থাকতে হবে। বাঁশ গাছকে খুব সৌভাগ্যবান মনে করা হয়। এই গাছটি যে বাড়িতে থাকে, সেখানে সর্বদা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ বর্ষিত হয়। দীর্ঘায়ুর জন্য বাঁশের গাছ বাড়িতে রাখা হয়।