ভারতবর্ষ উৎসব প্রধান দেশ। বছরভর নানা অনুষ্ঠান উদযাপন পালন করেন ভারতবাসী। সেরকমই একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল রথযাত্রা (Rath Yatra)। যার আর হাতে গোনা দিন বাকী। কিন্তু তার আগে হয় জগন্নাথদেবের আরও এক গুরুত্বপূর্ণ উৎসব, স্নানযাত্রা। জেনে নিন এই বিশেষ উৎসবের খুঁটিনাটি।
জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার (Jagannath Deber Snan Yatra) বিশেষ তিথিতে ধুমধাম করে উৎসব পালিত হয় পুরী, মাহেশ, ইস্কনের মন্দিরে। শুরু তাই নয়, যে সমস্ত মন্দিরে ও বনেদি বাড়িতে রথ উৎসব পালন হয়, সেখানেও ঘটা করে পালন করা হয় এই উৎসব। এই উৎসব ঘিরে পুরাণেও রয়েছে নানা কাহিনী। মনে করা হয়, এদিনই জগন্নাথদেবের জন্মদিন। তাই দেশজুড়ে মহাসমারোহে পালিত হয় এই উৎসব। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এদিন জগন্নাথদেবকে স্নান করানোর পর তাঁর জ্বর আসে।
জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার দিনক্ষণ
এই বছর জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা পড়েছে ২৪ জুন অর্থাৎ ৯ আষাঢ়, বৃহস্পতিবার। এই বিশেষ দিন সকাল ৯.১৪ মিনিটের মধ্যে জগন্নাথের স্নানযাত্রা সম্পন্ন করতে পারলে, তা অত্যন্ত শুভ।
জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার নিয়মকানুন
জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার দিনটিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই বিশেষ তিথিতে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলেন সারাবছর ভাগ্য ভাল থাকে।
* স্নানযাত্রার বিশেষ তিথিতে সকাল সকাল নতুন বস্ত্র পরে গঙ্গায় স্নান সারতে হবে।
* এরপর মন্দিরে বা বাড়িতে থাকা জগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রার পুজো করতে হয়।
* তবে পুজোর আগে তাঁদের অবশ্যই স্নান করাতে হয়।
* গঙ্গাজল ও কাঁচা দুধের সঙ্গে আতর, চন্দন ও কর্পূর মিশিয়ে তা দিয়ে নিষ্ঠা মনে স্নান করাতে হবে।
* স্নানের পরে ১০৮ টি তুলসী পাতা জগন্নাথদেবের চরণে দিন।
* জগন্নাথদেব, সুভদ্রা ও বলরাম তিনজনের মূর্তির সামনেই গোলাপ ফুল দিয়ে সাজান ও ৫ রকমের ফল উপসর্গ করুন।
* এদিন অন্তত একজন ব্রাহ্মণকে ভোজন করানো শুভ বলে বিবেচিত।
আরও পড়ুন: শুরু হয়েছে অম্বুবাচী! উৎসব চলাকালীন এই কাজগুলি করলেই বিপদ
ভক্তি মনে এই বিশেষ তিথিতে এই নিয়মগুলি মানলে সারাবছর আপনার ব্যবসায় ও চাকরির ক্ষেত্রে উন্নতি হবে। সেই সঙ্গে সুখ-শান্তিতে ভরে উঠবে আপনার পারিবারিক জীবন।
প্রসঙ্গত, আগামী ১২ জুলাই পড়েছে রথযাত্রা এবং ২০ জুলাই পড়েছে উল্টো রথ। যদিও এই বছর করোনা অতিমারীর জন্যে ছন্দপতন হয়েছে রথযাত্রা ও জগন্নাথের স্নানযাত্রা উৎসবেও। তবে নিয়মকানুন পালন হবে সর্বত্র।