উপলক্ষ্য যখন কৌশিকী অমাবস্যা তখন তারাপীঠে তো ভক্তের ভিড় হবেই। প্রতি বছরই এই শুভক্ষণে তারাপীঠে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে। উদ্দেশ্য একটাই মাকে দর্শন করা এবং মায়ের আশীর্বাদ পাওয়া। ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর কৌশিকী অমাবস্যা হলেও তারাপীঠে মায়ের পুজো শুরু হবে ১৪ সেপ্টেম্বর অমাবস্যা তিথি থেকে। শেষ মুহূর্তের তোড়জোড় চলছে জোর কদমে। যারা তারাপীঠ যাবেন বলে প্রস্তুতি শুরু করেছেন, জেনে নিন মায়ের ভোগ পাওয়ার সমস্ত নিয়ম। এই বিষয়ে bangla.aajtak.in-কে বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছেন মন্দিরের পুরোহিত ও পাণ্ডা জয়ন্ত কুমার।
কৌশিকী অমাবস্যায় মাসেক রাজবেশে সাজিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়। পুণ্যার্থীরা এই সময় এই সিদ্ধপীঠে আসেন মায়ের দর্শন করতে এবং ভোগ প্রসাদ পেতে। তারাপীঠে এই ভোগ পাওয়ার সঠিক নিয়ম ঠিক কী? এ বিষয়ে জয়ন্ত কুমার বলেন,'দুরকমের ভোগ হয়ে থাকে, নিরামিষ ও আমিষ। নিরামিষ ভোগটা অল্প খরচায়, ২০০-৩০০ জনের জন্য হয়, এই ভোগ পাওয়ার জন্য সকাল ৯টা থেকে দশটার মধ্যে মন্দির কমিটির কাছ থেকে কুপন কেটে এই ভোগ খেতে পারবেন দর্শনার্থীরা। আর একটা হয় স্পেশাল ভোগ, যেটা পাওয়ার জন্য মানুষ পয়সা খরচ করেন, টাকার বিনিময়ে মায়ের ভোগ খান তাঁরা।'
তিনি আরও জানান, ভোগের মধ্যে পোলাও ভোগে থাকে পোলাও, সবজি, পাঁচ রকমের ভাজা, মাছ, মিষ্টি। মাংস ভোগও হয়, কারণসুরা দিয়ে মায়ের ভোগ হয়। আর দর্শনার্থীদের জন্য ভোগ পাওয়ার দুটো পদ্ধতি রয়েছে, একটা ভোগ পাওয়া যায় হয় কুপন কেটে আর একটা ভোগ হয় নিজেরা খরচা করে ভোগ নিবেদন করে। এটা ঠিক কী? মন্দিরের পুরোহিত জয়ন্ত কুমার বলেন, ১১০০ বা ২১০০ টাকা দিয়ে মায়ের স্পেশাল ভোগও পেতে পারেন ভক্তরা। সেক্ষেত্রে সেই ভোগ প্রথমে মাকে নিবেদন করা হয় তারপর তা বিতরণ করা হয় যারা সেই ভোগ নিবেদন করেছেন তাঁদের মধ্যে। অপরদিকে, মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে ভোগ পাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সেটা নিরামিষ ভোগ। দুশো জনের কুপন কেটে ভোগ খাওয়ানো হয়। ২০০ জন হয়ে গেলে আর ভোগ খাওয়ানো হয় না এক্ষেত্রে। তাঁকে পরের দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। কুপনের দাম এই ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে।
এই বছর ৭ থেকে ৮ লক্ষের ভক্তের সমাগম হতে পারে তারাপীঠে। আর সেই নিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে একেবারে তুঙ্গে। গোটা তারাপীঠ এলাকায় বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। একাধিক পুলিশ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। ড্রোনের সাহায্যেও নজর রাখা হবে পুরো পরিস্থিতির ওপর।