Astrology: বাড়িতে পোষ্য রাখার রেওয়াজ এ দেশে নতুন কিছু নয়। বিড়াল, পাখি থেকে কুকুর। নানা ধরনের প্রাণীই স্থান পেয়েছে মানুষের ঘরের অন্দরমহলে। তবে পোষ্যদের মধ্যে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে জনপ্রিয় কুকুর। বিশ্বস্ততার দিক থেকে যাকে মানুষের সেরা বন্ধু বলা হয়ে থাকে।
কুকুর পোষা কি সত্যিই সবার জন্য শুভ? জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, নয়। কুকুরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কেতু গ্রহের গভীর যোগ। তাই কুকুর পুষতে গেলে জন্মছকে কেতুর অবস্থান ঠিক আছে কি না, তা জেনে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া ভাল।
জন্মছকে কেতু যদি শুভ অবস্থানে থাকে, অর্থাৎ বন্ধুরাশিতে বা কোনও সদগুণসম্পন্ন গ্রহের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাহলে কুকুর পোষা শুধু শুভই নয়, অত্যন্ত ফলদায়ক। মনে করা হয়, কুকুরের মাধ্যমে কেতুর আশীর্বাদ মেলে। বাড়ে জীবনে সাফল্য, শারীরিক ভাবে মিলতে পারে উপশম। কুকুরকে ভৈরব দেবতার বাহন বলেও মানা হয়। তাই কুকুরকে নিয়ম করে খেতে দিলে ভৈরবের কৃপা পাওয়া যায়। আবার, কালো কুকুরকে রুটি খাওয়ালে সন্তুষ্ট হন শনিদেব। বহু জ্যোতিষ মতে, এতে রাহু-কেতুর অশুভ প্রভাবও কমে যায়। এমনও বলা হয়, প্রতিদিন প্রথম রুটি গরুকে আর শেষ রুটি কুকুরকে খাওয়ালে সংসারে শান্তি থাকে।
কিন্তু এর উলটো দিকও আছে। জন্মছকে কেতু যদি অশুভ অবস্থানে থাকে, বা কোনও দুষ্টগ্রহের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে কুকুর পুষলে বিপদ আসতে পারে উলটে। বাড়িতে নেমে আসতে পারে অশান্তি, টানতে হতে পারে আর্থিক ক্ষতি। এমনকি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মতানৈক্য, বিবাদও হতে পারে। শরীর খারাপ থেকে দুর্ঘটনা— কিছুই বাদ যেতে পারে না। তাই কুকুর পোষার আগে নিজের কুণ্ডলীর দিকে একবার নজর দেওয়াই ভাল।
তবে এ কথাও ভুললে চলবে না, পোষ্য শুধু শখ নয়, এক ধরনের দায়িত্বও বটে। আপনি কুকুর পুষতে পারবেন কি না, তা নির্ধারণ করে দিতে পারে আপনার জন্মগ্রহের অবস্থান। কিন্তু যদি নিজের জীবনে শান্তি চান, আর প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ রাখতে চান, তবে কুকুরকে ভালবাসার মধ্যে দিয়েও মিলতে পারে আধ্যাত্মিক আশ্রয়। শর্ত একটাই, সময়মতো সাবধান হোন, যাতে ভালবাসা আপনার জীবনে বিপদ না ডেকে আনে।