Advertisement

Payesh: যে কোনও পুজোর ভোগে থাকে পায়েস, কারণ জানেন?

Payesh: হিন্দুদের যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানে একটা পদ বাঁধা, তা হল পায়েস। জন্মদিন, অন্নপ্রাশন থেকে বিয়ে...মেনুতে পায়েস থাকবেই। যে কোনও পুজোর ভোগেও পায়েস দেওয়ার চল রয়েছে। এক এক প্রদেশে এক এক ভাবে পায়েস তৈরি করা হয়। ওড়িশায় যেমন এই পায়েসকে বলা হয় ক্ষীর। দুধ ঘন করে, চিনি, কাজু, কিশমিশ আর সামান্য চালের দানায় বানানো হয় এই পায়েস।

পুজোর ভোগে পায়ের রাখার কারণ জানুন
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 27 May 2023,
  • अपडेटेड 3:11 PM IST
  • হিন্দুদের যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানে একটা পদ বাঁধা, তা হল পায়েস। জন্মদিন, অন্নপ্রাশন থেকে বিয়ে...মেনুতে পায়েস থাকবেই। যে কোনও পুজোর ভোগেও পায়েস দেওয়ার চল রয়েছে। এক এক প্রদেশে এক এক ভাবে পায়েস তৈরি করা হয়। ওড়িশায় যেমন এই পায়েসকে বলা হয় ক্ষীর। দুধ ঘন করে, চিনি,

হিন্দুদের যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানে একটা পদ বাঁধা, তা হল পায়েস। জন্মদিন, অন্নপ্রাশন থেকে বিয়ে...মেনুতে পায়েস থাকবেই। যে কোনও পুজোর ভোগেও পায়েস দেওয়ার চল রয়েছে। এক এক প্রদেশে এক এক ভাবে পায়েস তৈরি করা হয়। ওড়িশায় যেমন এই পায়েসকে বলা হয় ক্ষীর। দুধ ঘন করে, চিনি, কাজু, কিশমিশ আর সামান্য চালের দানায় বানানো হয় এই পায়েস। বৃন্দাবনে আবার চল রয়েছে সাবুর পায়েসের। জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণের খুব প্রিয় এই সাবুদানা ক্ষীর। দুধ ভালো করে জ্বাল দিয়ে তাতে ঘিয়ে ভাজা সাবুদানা ফেলে বানানো হয় এই পায়েস। এছাড়াও কোথাও সিমুই এর পায়েস দেওয়া হয়। দক্ষিণ ভারতেরও যে কোনও উৎসবের মূল আকর্ষণ এই পায়েস। দুর্গাপুজো থেকে কালীপুজো সব পুজোর প্রসাদে খিচুড়ি, পাঁচরকম ভাজা, লাবড়া, পোলাও যাই থাক না কেন পায়েস থাকবেই। পায়েস ছাড়া যেন পুজো অসম্পূর্ণ।

কেন ভোগে থাকে পায়েস
আর পুজোর পায়েসের স্বাদই একদম অন্যরকম। তবে সর্ব পুজোর ভোগে কেন পায়েস নিবেদন করা হয়? কথিত আছে, শ্রীকৃষ্ণ তখন বালগোপাল। বৃন্দাবন আলো করে রয়েছেন। সেই সময় ইন্দ্রপুজোর প্রচলন ছিল বৃন্দাবনবাসীদের মধ্যে। অহঙ্কারী ইন্দ্রকে শিক্ষা দিতে শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনবাসীদের বলেন, আগে ইন্দ্রের পুজো করে তারপর গোবর্ধন পর্বতের পুজো করতে। কিন্তু এতেই ইন্দ্র রাগে জ্বলে ওঠেন এবং তার ফলে বৃন্দাবনে শুরু হয় প্রবল বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত। বন্যায় ভেসে যায় গ্রাম। তখনই গোবর্ধন পর্বতকে কড়ে আঙুলে তুলে ৭ দিন ধরে বৃন্দাবনবাসীকে রক্ষা করেন শ্রীকৃষ্ণ। ৭ দিন পরে ইন্দ্র ক্ষমা চাইতে আসেন, থামে বিপর্যয়।

রইছে পৌরাণিক কাহিনী
এই ঘটনার পরেই বৃন্দাবনবাসীরা একটি ভোগের আয়োজন করেন এবং সেখানেই শ্রীকৃষ্ণকে ছাপান্নটি পদের ভোগ দেওয়া হয়। সেই থেকেই ‘ছপ্পন ভোগ’ কথাটি এসেছে। আজও ভারতের বহু জায়গায় ভগবানকে ছপ্পন ভোগ দেওয়ার প্রচলন রয়েছে। আর এই তালিকায় ভাত জাতীয় খাবারের সঙ্গে থাকে পায়েস, মিষ্টি। সেখান থেকেই যে কোনও পুজোয় ভোগে থাকে পায়েস,লুচি, পাঁচরকম ভাজা, খিচুড়ি ইত্যাদি। লক্ষ্মীপুজো থেকে সরস্বতীপুজো নৈবদ্যে কিন্তু খুব একটা পরিবর্তন আসে না। আর দুর্গাপুজোয় অষ্টমীর সন্ধিপুজোয় মাকে যে বিশেষ ভোগ নিবেদন করা হয়, সেই ভোগের অন্যতম হল পায়েস।

Advertisement

ভোগের পায়েস করার নিয়ম
অনেক নিয়ম শুদ্ধির মধ্যে দিয়ে রান্না করা হয় এই পদ। গোবিন্দভোগ চালের সঙ্গে যখন মেশে, ঘি, দুধ , কাজু, কিশমিশ তখন তার স্বাদটাই আলাদা হয়ে যায়। ভোগের পায়েসের সঙ্গে স্বাদে বাড়ির পায়েসের তফাত বিস্তর। এছাড়াও থাকে বাড়িতে তৈরি বিশেষ মিষ্টও। দেখে নিন কেমন করে বানাবেন ভোগের পায়েস।

দেখে নিন কী কী লাগছে

গোবিন্দ ভোগ চাল- ১০০ গ্রাম
দুধ- ১ লিটার
চিনি- ১০ গ্রাম
কাজু বাদাম
কিশমিশ- ২ চামচ
তেজপাতা- ১টা
এলাচ গুঁড়ো- ১ চামট
ঘি- চামচ

কীভাবে বানাবেন
যেভাবে বানাবেন- ১০০ গ্রাম চালের জন্য ১ লিটার দুধ নিন। চাল ধুয়ে ভালো করে ঘি মাখিয়ে নিন। এবার অন্য একট পাত্রে দুধ বসান। জ্বাল দিয়ে ভালো করে দুধ ঘন করে নিন। দুধ ফুটে উঠলে তাতে চাল ফেলে দিন। এবার ওর মধ্যে তেজপাতা, এলাচ গুঁড়ো দিন। চাল সেদ্ধ হচ্ছে বুঝলে চিনি দিন। কারণ চিনি আগে দিয়ে দিলে চাল সেদ্ধ হতে চায় না। নামানোর আগে কাজু, কিশমিশ ছড়িয়ে দিন।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement