Advertisement

বামাখ্যাপা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন এই সতীপীঠে, জানুন মা নন্দীকেশ্বরীর কথা

বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া (Sainthia)। এই সাঁইথিয়াতেই রয়েছে মা নন্দীকেশ্বরীর মন্দির। ৫১ সতপীঠের (Sati Pith) অন্যতম এক পীঠ হল এই নন্দীকেশ্বরী মন্দির (Nandikeshwari Temple)। পৌরাণিক মতে এখানে মায়ের কণ্ঠহার পড়েছিল। আর শুধু তাই নয় এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সাধক বামাখ্যাপার কাহিনীও। স্থানীয় ভক্তরা ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে বছরভর দর্শনার্থীরা আসেন এখানে। তারমধ্যে কালীপুজোর মত বিশেষ বিশেষ দিনে তো ভক্তের ঢল নামে। তবে এবার করোনা ভাইরাসের কারণে পরিস্থিতিটা অন্য। এক্ষেত্রে করোনা কালে কালীপুজোতে ভক্তদের ভিড় সামাল দিতে এবং কোভিড ১৯ বিধি পালনে বেশকিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন মন্দিরের সেবাইত জ্যোতির্ময় চট্টোপাধ্যায়।

মা নন্দীকেশ্বরী
Aajtak Bangla
  • সাঁইথিয়া,
  • 07 Nov 2020,
  • अपडेटेड 7:08 PM IST
  • এখানে পড়েছিল সতীর কণ্ঠহাড়
  • বামাখ্যাপার সিদ্ধিলাভ এই সতীপীঠে
  • প্রাচীনকালে বটবৃক্ষের নিচে ছিলেন মা নন্দীকেশ্বরী

প্রীতম ব্যানার্জী

বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া (Sainthia)। এই সাঁইথিয়াতেই রয়েছে মা নন্দীকেশ্বরীর মন্দির। ৫১ সতপীঠের (Sati Pith) অন্যতম এক পীঠ হল এই নন্দীকেশ্বরী মন্দির (Nandikeshwari Temple)। পৌরাণিক মতে এখানে মায়ের কণ্ঠহার পড়েছিল। আর শুধু তাই নয় এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সাধক বামাখ্যাপার কাহিনীও। স্থানীয় ভক্তরা ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে বছরভর দর্শনার্থীরা আসেন এখানে। তারমধ্যে কালীপুজোর মত বিশেষ বিশেষ দিনে তো ভক্তের ঢল নামে। তবে এবার করোনা ভাইরাসের কারণে পরিস্থিতিটা অন্য। এক্ষেত্রে করোনা কালে কালীপুজোতে ভক্তদের ভিড় সামাল দিতে এবং কোভিড ১৯ বিধি পালনে বেশকিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন মন্দিরের সেবাইত জ্যোতির্ময় চট্টোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে তিনি জানাচ্ছেন, মন্দির স্যানিটাইজেশানের পাশাপাশি বিতরণ করা হতে পারে মাস্ক। নির্দিষ্ট লাইনের মাধ্যমে রাখা হবে সামাজিক দূরত্ব। পুলিশ প্রশাসনের সাহায্যও নেওয়া হবে। এছাড়া ভোগ বিতরণের ব্যবস্থাও বন্ধ রয়েছে বলে জানালেন তিনি।

মা নন্দীকেশ্বরীর পুজো

মা নন্দীকেশ্বরীর মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে নানা জনশ্রুতি। যার অন্যতম সাধাক বামাখ্যাপার সিদ্ধিলাভের কাহিনী। জ্যোতির্ময় চট্টোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, সাধক বামাখ্যাপা যখন মায়ের দেখা পাওয়ার জন্য তারাপীঠে সাধনা করছেন, আকুল হয়ে মা কে ডাকছেন, ঠিক সেই সময় তাঁকে স্বপ্নে দেখা দেন মা নন্দীকেশ্বরী। বামখ্যাপাকে মা নন্দীকেশ্বরী স্বপ্নাদেশ দেন আগে তাঁর পুজো করতে, তারপরেই সিদ্ধিলাভ হবে। স্বপ্নাদেশ পেয়ে বামাখ্যাপা মা নন্দীকেশ্বরীর দ্বারে পুজো দেন এবং সিদ্ধিলাভ করেন। তারপর থেকে আজও তারাপীঠের দর্শনার্থীদের অনেকেই যাতায়াতের পথে মা নন্দীকেশ্বরীর মন্দিরে প্রণাম ঠুকে যান। জ্যোতির্ময়বাবু আরও জানাচ্ছেন, কয়েক পুরুষ আগে বটবৃক্ষের নিচেই ছিলেন মা। পরবর্তীকালে তাঁদের পূর্ব পুরুষরা মায়ের স্বপ্নাদেশ পান এবং তারপর জমিদার ও এলাকার মানুষজন মিলে এই মন্দির তৈরী করেন। 

Advertisement
সংলগ্ন জগন্নাথ মন্দির

শুধু মা নন্দীকেশ্বরীর মন্দিরই নয়, এখানে গড়ে উঠেছে একটি জগন্নাথ মন্দিরও। মূলত মন্দির কমিটির তরফেই এই জগন্নাথ মন্দির তৈরি করা হয়েছে। তাছা়ড়া যেহেতু করোনাকাল ছাড়া অন্যান্য সময় এখানে বছরভর যাত্রীদের আনাগোনা লেগেই থাকে, তাই তাঁদের সুবিধার্থে একটি লজও এখানে তৈরি করা হয়েছে এবং তার ভাড়াও যথেষ্ট কম বলেই জানালেন জ্যোতির্ময়বাবু। 
 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement