হিন্দু ধর্মে যে ১৮টি পুরাণের উল্লেখ পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হল গরুণ পুরাণ। এখানে মৃত্যু, স্বর্গ ও নরক ভোগ ও পরবর্তী প্রজন্মের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কর্ম ও পাপের ভিত্তিতে পরবর্তী প্রজন্মে ব্যক্তি কোন রূপে জন্ম নেবে, সে সবই জানানো রয়েছে এই পুরাণে। এই পুরাণে শ্রাদ্ধ, তর্পণ, মুক্তির উপায় ইত্যাদির বিস্তৃত বিবরণ রয়েছে। ব্যক্তি মৃত্যুর পর কী হয়ে জন্ম নেবে, তা গরুড পুরাণের পঞ্চম অধ্যায় বর্ণনা করা হয়েছে।
শকুন
গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে যে ব্যক্ত বন্ধুকে প্রতারিত করে, ঠকায় তাঁরা পাহাড়ে বসবাসকারী শকুন হয়ে জন্মগ্রহণ করে। পেট ভরার জন্য তখন তাঁরা মৃত প্রাণী ভক্ষণ করে।
কুকুর বা গাধা
আবার যে ব্যক্তি ধর্মের বিরোধিতা করে, ধর্ম পালন করে না, তাঁরা কুকুর, গাধা বা উট রূপে জন্ম নেয়। আবার এই জন্মে যারা কোনও নারীকে হত্যা করে তারা পরবর্তী জন্মে কুষ্ঠরোগী হয়ে জন্মায়।
গাধা, শকুন, শেয়াল
যে জাতকরা নিজের বন্ধুর স্ত্রীর ওপর কুদৃষ্টি দেয়, তাঁরা গাধা রূপে জন্ম নেয়। আবার যাঁরা অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে তাঁরা ঘোর নরকে যায়। এর পর সেই ব্যক্তি কুকুর, শকুন, শেয়াল, সাপ, কাক ও শেষে বকের যোনি লাভ করে।
বাদুড়
আবার বিয়ের পরও যে স্ত্রীরা অনৈতিক সম্পর্কে জড়ায় তাঁরা পরবর্তী প্রজন্মে বাদুড় হয়ে জন্মগ্রহণ করে। স্ত্রীকে মারধর করে যে ব্যক্তি সে পরবর্তী প্রজন্মে নানান রোগে গ্রস্ত থাকে।
প্যাঁচা
চালাকি বা প্রতারণা করে যে ব্যক্তি তিনি পরবর্তী জন্মে প্যাঁচা হয়ে জন্মগ্রহণ করেন।
কালো সাপ
এ জন্মে কোনও ব্যক্তি বিষ পান করে আত্মহত্যা করলে তাঁরা পর্বতের কালো সাপ হয়ে জন্ম নেন।