লক্ষ্মী হলেন ধনদেবী। তাই মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হলে সমস্ত আর্থিক সমস্যা দূর হয় বলে মনে করা হয়। এছাড়া দান ধ্যান করলেও আর্থিক সংকট কেটে যায়। তবে অনেক সময় দেখা যায় বহু চেষ্টা করেও আর্থিক সংকট দূর হচ্ছে না বা ঋণের বোঝাও বেড়ে যাচ্ছে। তখন কিছু উপায় রয়েছে যেগুলি মেনে চললে বা কোজাগরী পূর্ণিমায় (Kojagari Laxmi Purnima ) সেগুলি পালন করলে লক্ষ্মী দেবী খুশি হন এবং ধনসম্পদ দান করেন। আবার কিছু কিছু বিষয় আছে যা কোজাগরী লক্ষ্মীপজোর (Kojagari Laxmi Puja 2022) দিন কখনওই করা উচিত নয়, কারণ তাতে ভয়ানক অসন্তুষ্ট হন দেবী। চলুন সেগুলিই জেনে নেওয়া যাক।
কাঁসর ঘণ্টা বাজাবেন না - হিন্দু ধর্মে পজোর সময় কাঁসর ঘণ্টা বাজানোর নিয়ম থাকলেও কখনওই লক্ষ্মী পুজোয় তা বাজাবেন না। কারণ মনে করা হয় লক্ষ্মী ঠাকুর শব্দ পছন্দ করেন না, তাই কাঁসর ঘণ্টা বাজালে তিনি অসন্তুষ্ট হন।
তুলসী পাতা নয় - তুলসীকে হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত পবিত্র হিসেবে মনে করা হয়। অনেক পুজোয় তুলসী পাতাও কাজে লাগে। তবে লক্ষ্মী পুজোয় কোনও ভাবেই তুলসী পাতা ব্যবহার করবেন না।
লোহার বাসন ব্যবহার করবেন না - কোজাগরী বা যে কোনও লক্ষ্মীপুজোয় লোহার তৈরি কোনও বাসন ব্যবহার করবেন না। কারণ লোহার বাসন অলক্ষ্মী পুজোয় ব্যবহার করা হয়।
সাদা ফুল নয় - পুজোয় ফল একটি অপরিহার্য উপাদান। তবে লক্ষ্মী পুজোয় সাদা ফুল একেবারেই ব্যবহার করবেন না। বরং লাল বা গোলাপি ফুল দিয়ে দেবীর পুজো সারুন। পাশাপাশি সাদা বা কালো কাপড়ের ওপরে দেবীর মূর্তি কখনওই স্থাপন করবেন না। একইসঙ্গে পুরোহিতকেও পরতে হবে লাল বা হলুদ রঙের বস্ত্র।
এই দিকে রাখুন ধূপ ও প্রদীপ - পুজোয় ফুলের পাশাপাশি ধূপ ও প্রদীপও রাখতে হয়। তবে সবসময়ই সেগুলিকে রাখতে হবে দেবীর ডানদিকে। এই নিয়মগুলি মনে চললেই দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হবেন বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন - এই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোতেই কাটবে চন্দ্রদোষ, রইল রাশি অনুযায়ী প্রতিকার