শাস্ত্র অনুসারে,কোনও ধর্মীয় বা শুভ অনুষ্ঠান শুরু করার আগে গণেশের পুজো করা হয়। গৌরীর পুত্র শ্রী গণেশকে সুখ, সমৃদ্ধি, লাভ, বাধা-বিঘ্ন নাশকারী এবং শুভ প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। প্রতি বুধবার গণেশের পুজো করলে মেলে সৌভাগ্য। লোকবিশ্বাস, এই দিনে যে ভক্ত পূর্ণ ভক্তি সহকারে গণেশের আরাধনা করেন,তাঁর সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। গণেশকে মোদক, দূর্বা ও সিঁদুর নিবেদন করুন। তবে গণেশের পুজোয় এমন অনেক জিনিস আছে যা দেওয়া যায় না। এতে গণপতি রুষ্ট হন। পুজোর ফল মেলে না।
তুলসী পাতা- শাস্ত্র অনুসারে, গণেশের পুজোয় তুলসী পাতা ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ গণেশ তুলসীকে অভিশাপ দিয়েছিলেন। তাঁর পুজোয় তাই তুলসী দেওয়া যায় না। গণেশকে তুলসী অর্পণ করলে তিনি রুষ্ট হতে পারেন।
ভাঙা ধান- ভাঙা অক্ষত বা ধান গণেশের পুজোয় ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ ভাঙা অক্ষত ব্যবহার করলে গণেশ রেগে যেতে পারেন। সেজন্য সবসময় এমন ধান ব্যবহার করুন, যা ভাঙা না হয়।
টগর ফুল-গণেশকে টগর ফুল নিবেদন করা উচিত নয়। ভোলেনাথ টগর ফুল পছন্দ করেন না। যে কারণে গণেশকেও টগর ফুল দেওয়া হয় না। সেই সঙ্গে সাদা রঙের ফুলও দেওয়া যায় না। গণেশকে গাঁদা ফুল ও লাল রঙের ফুল দিতে পারেন।
চাঁদের সঙ্গে যুক্ত বস্তু- গণেশজিকে চাঁদ সম্পর্কিত কোনও জিনিস দেওয়া উচিত নয়। পুরাণে বর্ণিত, একবার চাঁদ গণেশকে উপহাস করলে তিনি রেগে গিয়ে অভিশাপ দিয়েছিলেন যে সৌন্দর্য হারিয়ে যাবে। সেই কারণেই গণেশের পুজোয় কোনও ধরনের সাদা জিনিস দেবেন না। নাহলে পুজোই বৃথা যাবে।
শুকনো ফুল এবং মালা- শাস্ত্র অনুসারে, শুকনো এবং শুকনো ফল কখনই গণেশের পুজোয় ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ এতে ঘরে দারিদ্র্য আসে। এর পাশাপাশি পুজোর স্থানে শুকনো ও শুকিয়ে যাওয়া ফুল রাখলে বাস্তু দোষের সৃষ্টি হয়।