Advertisement

Mauni Amavasya: মৌনী অমাবস্যা কবে-স্নানের সবচেয়ে শুভ সময় কখন? পুজোর মুহূর্ত-দান সহ বিস্তারিত

Remedies For Mauni Amavasya-2025: হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, মাঘ মাসের অমাবস্যা মৌনী অমাবস্যা নামে পরিচিত। এই দিনে মৌন থেকে ব্রত ও স্নানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। মৌনী মানে নীরবতা এবং এই দিনে নীরবতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণ বজায় রাখলে মানসিক ও আধ্যাত্মিক শক্তি পাওয়া যায়। এই দিনে পবিত্র নদীতে স্নান ও দান করলে পাপ ধুয়ে যায় এবং মোক্ষ লাভ হয়। এই দিনে গঙ্গা স্নানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে এবং এই দিনে ভক্তরা প্রয়াগরাজের সঙ্গমে স্নান করবেন।

মৌনী অমাবস্যার দিন স্নানের পর ৭ কাজের মধ্যে ১টি করুনমৌনী অমাবস্যার দিন স্নানের পর ৭ কাজের মধ্যে ১টি করুন
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 27 Jan 2025,
  • अपडेटेड 10:06 AM IST


Remedies For Mauni Amavasya-2025: হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, মাঘ মাসের অমাবস্যা মৌনী অমাবস্যা নামে পরিচিত। এই দিনে মৌন থেকে ব্রত ও  স্নানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। মৌনী মানে নীরবতা এবং এই দিনে নীরবতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণ বজায় রাখলে মানসিক ও আধ্যাত্মিক শক্তি পাওয়া যায়। এই দিনে পবিত্র নদীতে স্নান ও দান করলে পাপ ধুয়ে যায় এবং মোক্ষ লাভ হয়। এই দিনে গঙ্গা স্নানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে এবং এই দিনে ভক্তরা প্রয়াগরাজের সঙ্গমে স্নান করবেন। এই দিনটি সূর্য দেবতা এবং পূর্বপুরুষদের পুজোর জন্যও শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হয়। এবার মৌনী অমাবস্যা পড়েছে ২৯  জানুয়ারি।

মৌনী অমাবস্যা তিথি
হিন্দু পঞ্চাঙ্গ  অনুসারে, মাঘ মাসের অমাবস্যা তিথি ২৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭:৩২  মিনিটে শুরু হবে এবং ২৯  জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬:০৫ মিনিটে  শেষ হবে।

স্নান এবং দান করার জন্য মৌনী অমাবস্যার শুভ সময় 

  • ব্রহ্ম মুহুর্ত - ২৯ জানুয়ারি, সকাল ৫:২৫ মিনিট থেকে সকাল ৬:১৮ মিনিট পর্যন্ত
  • প্রাতঃ  সন্ধ্যা - ২৯ জানুয়ারি সকাল ৫:৫১ মিনিট থেকে ৭:১১ পর্যন্ত

মৌনী অমাবস্যার গুরুত্ব
মৌনী অমাবস্যার দিনে গঙ্গা নদীতে স্নান করা পবিত্র কারণ কথিত আছে এই দিনে গঙ্গার জল অমৃতের মতো হয়ে যায়। বিশ্বাস অনুসারে, ঋষি মনু মাঘ মাসের অমাবস্যা তিথিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তাই এই তারিখটি মৌনী অমাবস্যা নামে পরিচিত হয়েছিল। যে ব্যক্তি এই দিনে নীরবতা পালন করে সে তার জীবনে বাকশক্তিতে সাফল্য লাভ করে।

মৌনী অমাবস্যার পুজো পদ্ধতি
মৌনী অমাবস্যার দিনে ব্রহ্ম মুহুর্তে জেগে ওঠা ফলদায়ক বলে মনে করা হয়। এই দিনে প্রতিদিনের আচার-অনুষ্ঠান করার পর গঙ্গা নদীতে স্নান করুন এবং তা সম্ভব না হলে স্নানের জলে গঙ্গাজল মিশিয়ে স্নান করুন। স্নানের পরে, ভগবান বিষ্ণুর ধ্যান করুন এবং ব্রতর সংকল্প করুন। অতঃপর, জগতের পালনকর্তা ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করে ১০৮ বার তুলসী প্রদক্ষিণ করুন। এরপর সামর্থ্য অনুযায়ী গরীবদের অন্ন, টাকা বা কাপড় ইত্যাদি দান করুন।

মৌনী অমাবস্যায় করুন এই প্রতিকারগুলো
১. যারা তাদের পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ পেতে চান, তাদের হলুদ বস্ত্র পরিধান করা উচিত এবং মৌনী অমাবস্যার দিনে তাদের পূর্বপুরুষদের ধ্যান করা উচিত। এটি করা শুভ এবং পূর্বপুরুষরা এতে প্রসন্ন হন।

Advertisement

২. বাড়ির প্রধান প্রবেশপথে জলের সঙ্গে  হলুদ মিশিয়ে ছিটিয়ে দিন এবং বাড়ির দরজাটিও পরিষ্কার করুন। এই প্রতিকার করলে ঘরে ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়।

৩. মৌনী অমাবস্যার তিথিতে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করা হয় এবং অশ্বত্থ  গাছের পুজো করার প্রথাও রয়েছে।

পিতৃ দোষ থেকে মুক্তির উপায়

  • মৌনী অমাবস্যায় সূর্যোদয়ের আগে পবিত্র নদীতে স্নানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এটা সম্ভব না হলে ঘরে বসেই গঙ্গাজল জলে মিশিয়ে স্নান করতে পারেন। এতে করে জীবনের নেতিবাচকতা দূর হয় এবং পূর্বপুরুষের দোষ দূর হয়।
  • পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য এই দিনে তর্পণ ও পিন্ডদান প্রদান করা প্রয়োজন বলে মনে করা হয়। একটি পবিত্র নদীতে কালো তিল রাখুন এবং পিতৃপুরুষদের জল নিবেদন করুন। এতে করে পিতৃপুরুষের আশীর্বাদ বজায় থাকে এবং পরিবারে সুখ শান্তি বজায় থাকে।
  • দান করা মৌনী অমাবস্যার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এই দিনে, ব্রাহ্মণ, গরীব ও অভাবীকে খাওয়ানো, বস্ত্র, ময়দা, গুড়, ফল, কম্বল ইত্যাদি দান করা শুভ বলে মনে করা হয়। এতে করে জীবনের সকল কষ্টের অবসান হয় এবং পিতৃপুরুষের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
  • অমাবস্যা তিথিতে, অশ্বত্থ  গাছে পূর্বপুরুষদের বসবাস বলে মনে করা হয়। তাই এই দিনে অশ্বত্থ গাছে জল নিবেদন করুন এবং খাঁটি গরুর ঘির প্রদীপ জ্বালান। এতে পিতৃপুরুষের শান্তি আসে এবং ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে।
  • মৌনী অমাবস্যায়, কাঁচা দুধে যব, তিল এবং চাল মিশিয়ে নদীতে প্রবাহিত করা শুভ বলে মনে করা হয়। এই প্রতিকারটি পিতৃদোষকে শান্ত করতে এবং জীবনের বাধা দূর করতে খুব কার্যকর।
  • এই দিনে বাড়িতে যজ্ঞ করা শুভ বলে মনে করা হয়। যদি সম্ভব না হয় তবে গোবরের ঘুঁটে  জ্বালিয়ে তার উপর ঘি ও গুড়ের ধূপ নিবেদন করুন। এর সঙ্গে 'পিত্রি দেবতাভ্যো অর্পণমস্তু' মন্ত্রটি জপ করুন।
  • হিন্দু ধর্মে গরুকে খাওয়ানোকে সবচেয়ে বড় পুণ্য কাজ বলে মনে করা হয়। এই দিনে বিশেষ করে গরুকে সবুজ ঘাস, গুড় ও রুটি খাওয়ালে পিতৃপুরুষের আশীর্বাদ পাওয়া যায় এবং ঘরে অর্থ ও শস্যের অভাব হয় না।

Read more!
Advertisement
Advertisement