উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে এই বছর কুম্ভমেলা ব্যাপকভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যেখানে লক্ষ লক্ষ ভক্ত সঙ্গমে গঙ্গা, যমুনা এবং পৌরাণিক সরস্বতী নদীর পবিত্র সঙ্গমস্থলে উপস্থিত হন। বিশেষ করে, ২৮ জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে এক বিশাল ভিড় জমে যায়। এই দিনটি হিন্দু ধর্মীয় ক্যালেন্ডারে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, যা পুণ্য অর্জন এবং আধ্যাত্মিক মুক্তির জন্য বিশেষভাবে বিশ্বাস করা হয়।
মৌনী অমাবস্যার আধ্যাত্মিক গুরুত্ব অনেক ভক্তকে এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করেছে। 'মৌনী' শব্দটি সংস্কৃত 'মৌনা' থেকে এসেছে, যার অর্থ 'নীরবতা'। এই দিনে সঙ্গমে স্নান করলে মানুষ তাদের পূর্বপুরুষদের পুণ্য অর্জন এবং জীবনের অতীত পাপ থেকে মুক্তি লাভ করতে পারে, এই বিশ্বাসে ভর করে লক্ষ লক্ষ ভক্ত সেখানে এসেছিলেন।
এছাড়াও, এই বছরের কুম্ভ মেলা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ ছিল, কারণ এটি বিরল গ্রহের সারিবদ্ধতার কারণে ১৪৪ বছর পর একটি বিশেষ ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়। এই কারণে, বহু ভক্ত আধ্যাত্মিক শুদ্ধি এবং আধ্যাত্মিক শক্তির শীর্ষে পৌঁছানোর আশায় এখানে এসেছিলেন।
অথচ, এই পূর্ণাবর্তী তীর্থযাত্রায় দুর্ঘটনা ঘটে, যখন ভোর ১টা থেকে ২টার মধ্যে এক বিশাল পদপিষ্ঠের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর, ১০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হয়েছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে। লক্ষাধিক ভক্ত ব্যারিকেড ভেঙে সঙ্গমে স্নান করতে জড়ো হয়েছিলেন, যার ফলে শোকের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মানুষকে সঙ্গমে ভিড় না করার আহ্বান জানান। ইতিমধ্যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে পরিস্থিতির সমাধানে এগিয়ে এসেছেন।