হিন্দু ধার্মমতে সোমবারকে ভগবান শিবের আরাধনার দিন বলে মনে করা হয়। এ দিন শিবের পুজো করলে ভগবান শিব খুশি হন এবং তাঁর ভক্তদের মনের মতো আশীর্বাদ দেন। কথিত আছে যে ভগবানদের মধ্যে শিব খুব তাড়াতাড়ি খুশি হন। তবে যদি শিবের পুজো সঠিক আচার-বিধি মেনে না করা হয়ে, তবে আবার মহাদেব রুষ্ট হন খুব তাড়াতাড়ি।
শিব পুজোর নিয়ম কী?
যদিও ভোলেনাথকে পুজোর জন্য কোনও বিশেষ নিয়ম নেই। কিন্তু কিছু এমন জিনিস রয়েছে যা ভগবান শিবের ব্রতের সময় সব ভক্তদের মনে রাখা অবশ্যই প্রয়োজন। তাই জেনে নেওয়া যাক, সোমবার শিবের পুজো করার সময় কোন কোন বিশেষ বিষয়গুলির ওপর মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। ভগবান শিবের ভক্তরা সোমবার মহাদেবের অভিষেক করে থাকেন। অভিষেকের সময় মনে রাখবেন যে মহাদেবকে দই, মধু দিয়ে অভিষেক করানোর পর শেষে অবশ্যই জল দিয়ে স্নান করিয়ে পরিস্কার করানোর পর তবেই আপনার অভিষেক পূরণ হবে।
ভগবান শিবের পুজোয় এই ভুল করবেন না
শিবলিঙ্গের অভিষেক করার আগে সর্বদা মনে রাখবেন যে ভোলেবাবাকে অর্পিত করা দুধ যেন তামার পাত্রে না থাকে। এতে দুধ সংক্রমিত হয়ে যায়। যেটা ভগবান শিবকে অর্পণ করার যোগ্য থাকে না। অভিষেক করার দুধ সবসময় পিতল, রুপো বা স্টিলের পাত্রে রাখা উচিত।
পুজো করার সময় এটা সবসময় মনে রাখবেন যে শিবলিঙ্গের আশেপাশে যেন কোনও ধূপ বা আগুন জাতীয় কিছু না জ্বলে। পুরাণ অনুসারে, ভগবান শিবকে যত শীতল রাখা যায় তাতে আরও বেশি প্রসন্ন হন শিব। এইজন্য ধূপ বা ধুনো সব সময় ভগবান শিবের থেকে একটু দূরে রাখা উচিত।
শাস্ত্র অনুসারে, ভগবান শিবকে কখনও কুমকুম বা সিঁদুরের তিলক লাগানো উচিত নয়। ভোলেনাথকে সবসময় চন্দনের তিলক লাগানো উচিত। এছাড়া যখনই তাঁর অভিষেক করবেন তখন দুধের মধ্যে জল মিশিয়ে অভিষেক করুন। জল ছাড়া দুধ দিয়ে কখনই শিবের অভিষেক করবেন না।
কখনও শিবলিঙ্গের পুরো পরিক্রমা করবেন না। যেখান থেকে অভিষেকের দুধ বের হওয়ার রাস্তা বের হয়েছে সেখানেই থেমে যান এবং আবার পুনরায় যেখান থেকে পরিক্রমা শুরু করেছিলেন সেখানেই ফিরে যান। এই সমস্ত বিষয়গুলি মনে রেখে পুজো করলে ভগবান শিব আপনার মনের সব ইচ্ছা পূরণ করবে।