যে কোনও ব্যক্তির নাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নামে শুধু তাঁর পরিচয় নয় বরং ব্যক্তিত্ব ও ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। একটা সময় শিশুর নামকরণের ক্ষেত্রে জ্যোতিষের নিয়ম মানা হত। বাড়ির প্রধান পুরোহিত বা জ্যোতিষী নামে আদ্যক্ষর বলে দিতেন। সেই প্রথম অক্ষরেই যুৎসই নাম রাখা হত শিশুর। জ্যোতিষশাস্ত্রে নামের প্রথম অক্ষর থেকে ব্যক্তির ভাগ্য, প্রকৃতি এবং আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়। এমন কয়েকটি আদ্যক্ষর রয়েছে যেগুলি অত্যন্ত লাকি। সেই সব নামের ব্যক্তিরা পান ভাগ্যের সঙ্গ। রাতারাতি খ্যাতি পান তাঁরা। ভাগ্য এবং মেধা দিয়ে প্রচুর সম্পদ অর্জন করে।
অ, আ বা A
ইংরেজিতে 'A' বা বাংলায় অ, আ দিয়ে শুরু হওয়া নামের ব্যক্তিরা খুবই ভাগ্যবান হন। সাধারণত ২৫ বছর বয়সের পরে তাঁদের ভাগ্যোদয় ঘটে। তাঁরা রাতারাতি খ্যাতি পান। ছোটবেলা থেকেই পরিশ্রমী ও মেধাবী হন। জীবনে অনেক উঁচুতে পৌঁছতে পারেন।
চ,ছ বা C
ইংরেজিতে 'C' এবং বাংলায় ছ, চ দিয়ে শুরু হওয়া নামের ব্যক্তিরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম। প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে তাঁদের। তাঁরা লক্ষ্য অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন। হঠাৎ সাফল্য পান। তাঁরা প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন।
হ বা H
ইংরেজিতে 'H' বা বাংলায় ছ অক্ষর দিয়ে যাঁদের নাম শুরু হয়, তাঁদের নেতৃত্বগুণ থাকে। বড় জায়গায় পৌঁছতে পারেন। অল্প সময়ে নিজেদের আলাদা পরিচয় তৈরি করতে সক্ষম হন। প্রচুর অর্থ ও খ্যাতি পান।
'ক বা K
ইংরেজিতে K বা বাংলায় ক দিয়ে নাম শুরু হওয়া ব্যক্তিরা বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। তাঁরা জীবনে সব কিছু অর্জন করতে পারেন। তাঁরা খুব পরিশ্রমী এবং বুদ্ধিমান হন। কাঙ্ক্ষিত বস্তু হস্তগত করেই ছাড়েন। কিন্তু তাঁদের অনেক শত্রু থাকে।
স, শ বা S
ইংরেজিতে 'S' এবং বাংলায় স, শ দিয়ে শুরু হওয়া নামের ব্যক্তিরা যে কোনও কাজ মন দিয়ে করেন। তাঁদের মধ্যে থাকে আশ্চর্যজনক শক্তি। তাঁরা প্রচণ্ড ইতিবাচকও। তারা ভালো রাজনীতিবিদও হন। তাঁদের বাগ্মীতাও দারুণ। তাঁরা কঠোর পরিশ্রম এবং বুদ্ধিমত্তা দিয়ে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। তবে সাফল্য দেরিতে আসে। ৩৫ বছর বয়সের পরে হঠাৎ সফল হন তাঁরা।
আরও পড়ুন- চন্দ্রগ্রহণে মিলন-সহ এই কাজগুলি করলেই বিপদ, যা বলছে আয়ুর্বেদ