যেই সমস্ত কাপল সদ্য বাবা-মা হয়েছেন, তাঁরা খুব উৎসাহিত থাকেন সন্তানের নাম নিয়ে। ইন্টারনেটের যুগে নিজেদের সন্তানের নাম রাখার জন্য নেট মাধ্যমকেই সর্ব শ্রেষ্ঠ বলে মনে করেন তাঁরা। তবে অনেকেরই অজানা, এটা সঠিক নয়।
কোনও ব্যক্তির নাম শুধুমাত্র কয়েকটা অক্ষরের সমন্বয় না। উল্টে এটি সৌভাগ্য, সুস্বাস্থ্য ও অর্থের চাবিকাঠি। সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ীও নামের গুরুত্ব অনেক। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, নামের প্রথম অক্ষর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জন্মের সময়ে রাশিচক্রে চন্দ্রের অবস্থান দেখেই একটি শিশুর নাম নির্ধারণ ক্রা হয়।
জন্মের ১০ দিনের মাথায় নামকরণ উৎসবের (Naming Ceremony) আয়োজন কর হয়। সেই শিশুটির জন্মের সময়ের নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করা।
নামকরণ উৎসবের দিনক্ষণ ও নিয়ম
* শিশুর জন্মের ১০, ১২ কিংবা ১৬ দিনের মাথায় নামকরণ উৎসব করতে হয়। এই দিনগুলিতে নাম না রাখা গেলে, অন্য কোনও শুভ দিন বেছে নেওয়া যেতে পারে।
* হিন্দু ধর্মে, নামকরণ উৎসবের দিন জ্যোতিষীদের বেছে দাওয়া নামই রাখা হয়। তবে যদি আপনি সন্তানের জন্মের সময়ে নক্ষত্র জানেন, তাহলে বৈদিক জ্যোতিষ মতে নাম রাখতে পারবেন।
* অনুরাধা, মাঘ, উত্তরা,শতভিষা, স্বাতী,ধনিষ্ট, শ্রাবণ,রোহিণী, অশ্বিনী, রেবতি,হস্ত, পুশ্য নক্ষত্র নামকরণের জন্যে শ্রেষ্ঠ বলে মনে কারা হয়।
জ্যোতিষচার্য অনুযায়ী চন্দ্রের তিথির চতুর্থ দিন, ষষ্ঠ দিন, অষ্টম দিন, নবম দিন, দ্বাদশ দিন এবং চতুর্দশতম দিন নামকরণের জন্য সবচেয়ে শুভ। তবে একথা মাথায় রাখা জরুরী, নামকরণ কখনই পূর্ণিমা কিংবা অমাবস্যার পরের দিন করা উচিত না।