Home Vastu Tips: ঝাঁটা আর ন্যাতা, প্রত্যেক বাঙালি গৃহস্থালি বাড়িতে থাকবেই। কিন্তু এই সামান্য জিনিস দু'টিই আপনার জীবনে চূড়ান্ত দুর্ভাগ্য ডেকে আনতে পারে। বিশেষত যদি ভুল জায়গায় রাখা হয়। হিন্দু শাস্ত্র এবং বাস্তুশাস্ত্র বলছে, ঝাঁটা ও ন্যাতা শুধু পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতীক নয়, এদের স্থানের সঙ্গে ঘরের সৌভাগ্য, শান্তি ও আর্থিক সমৃদ্ধি জড়িত থাকে। তাই কিছু বিশেষ নিয়ম মেনে এগুলি রাখা উচিত।
বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে কখনও ঝাঁটা বা ন্যাতা রাখা উচিত নয়। এই দিককে বলা হয় ‘ঈশান কোণ’। ঈশান কোণ দেবতাদের স্থান। এখানে কোনও নোংরা জিনিস রাখলে তা ঘরের পবিত্রতাকে নষ্ট করে। এতে সংসারে আর্থিক সমস্যা, ঝগড়া, অশান্তি এবং রোগভোগ দেখা দিতে পারে।
তবে শুধু ঈশান কোণই নয়, বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারের কাছেও কখনও ঝাঁটা বা ন্যাতা রাখবেন না। এতে বাড়িতে ‘নেগেটিভ এনার্জি’ প্রবেশ করে। এমনকী, অতিথিরাও মনে করেন আপনি অপরিচ্ছন্ন, যা আপনার সম্মানহানিও করতে পারে।
অনেকেই রাত্রে ঝাঁটা দিয়ে থাকেন। তবে শাস্ত্রমতে, সূর্যাস্তের পরে ঝাঁটা দেওয়া অশুভ। এতে ‘লক্ষ্মী’ ঘর ছেড়ে চলে যান বলে বিশ্বাস করা হয়। ফলে ঘরে আর্থিক অভাব ও কষ্ট নেমে আসে।
প্রতি মাসে ঝাঁটা বা ন্যাতা বদলে ফেলা উচিত। খুব বেশি পুরনো বা ভাঙা ঝাঁটা ব্যবহার করাও অশুভ। পুরনো ঝাঁটা গৃহস্থ জীবনে স্থবিরতা নিয়ে আসে, আর নতুন ঝাঁটা ঘরে পজিটিভ এনার্জি আহ্বান করে।
ঝাঁটা রাখার শ্রেষ্ঠ স্থান দক্ষিণ-পশ্চিম দিক বা বাড়ির কোনও নির্দিষ্ট গোপন কোণ। সেখানেও তা যেন দাঁড় করিয়ে না রাখা হয়। ঝাঁটা সবসময় জমিতে শোয়ানো অবস্থায় রাখতে হয়। এটা লক্ষ্মী দেবীর প্রতীক বলেও বিবেচিত হয়, তাই সম্মানের সঙ্গে রাখা উচিত।
ঝাঁটা-ন্যাতা ব্যবহার খুব সাধারণ হলেও, এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে বাস্তুশাস্ত্র ও ধর্মীয় বিশ্বাসের গভীর দিক। সঠিক স্থানে এগুলি রাখলে যেমন জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে, তেমনই ভুল স্থানে রাখলে দুর্ভাগ্য অবধারিত। তাই আজ থেকেই সাবধান হন, ও খেয়াল রাখুন—এই জিনিসগুলো কোথায় রাখছেন।