Advertisement

Nil Sasthi 2022: কেন করা হয় নীল ষষ্ঠীর উপোস? জানুন ব্রত পালনের আসল কাহিনি

Nil Sasthi 2022 Puja: সামনেই আসছে নীলপুজো বা নীলষষ্ঠী। প্রায় প্রতি বাড়ির মহিলারাই এদিন মূলত সন্তানের মঙ্গল কামনায় ব্রত পালন করেন। মহাদেবের মন্দিরগুলিতে ভিড় জমান ভক্তেরা।  

সাধারণত চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন হয় নীল পুজোসাধারণত চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন হয় নীল পুজো
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 05 Apr 2022,
  • अपडेटेड 4:38 PM IST

গোটা এপ্রিল মাস জুড়ে রয়েছে একাধিক পুজো-পার্বণ। সামনেই আসছে নীলপুজো বা নীলষষ্ঠী (Nil Sasthi)। প্রায় প্রতি বাড়ির মহিলারাই এদিন মূলত সন্তানের মঙ্গল কামনায় ব্রত পালন করেন। মহাদেবের (Lora Shiva) মন্দিরগুলিতে ভিড় জমান ভক্তেরা।  

নীলষষ্ঠীর দিনক্ষণ (Nil Sasthi 2022 Date & Time)

সাধারণত চৈত্র সংক্রান্তির আগে অর্থাৎ চড়ক উৎসবের আগের দিন নীলপুজো পালিত হয়। এই বছর ১৩ এপ্রিল অর্থাৎ ৩০ চৈত্র পড়েছে নীলপুজোর তারিখ।  

আরও পড়ুন

 

নীলষষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত নানা লোক কথা (Nil Sasthi's Mythologiical Stories)

* দেবাদিদেব শিবের অপর নাম নীলকণ্ঠ বা নীল। অনেকে মনে করেন,  শিবের সঙ্গে নীলচণ্ডিকা বা নীলাবতী পরমেশ্বরীর বিয়ে উপলক্ষ্যে লৌকিক আচার-অনুষ্ঠান সংঘটিত হয় এদিন। শোনা যায়, দক্ষযজ্ঞে দেহত্যাগের পর সতী পুনরায় নীলধ্বজ রাজার বিল্ববনে আবির্ভূত হন ৷ এরপর রাজা তাঁকে নিজের মেয়ের মতো করে বড় করে শিবের সঙ্গে ফের বিয়ে দেন ৷ 

বাসর ঘরে মক্ষিপারূপ ধরে মৃত্যুবরণ করেন তিনি ৷ তা দেখে শোকে রাজা-রাণীও প্রাণ বিসর্জন দেন ৷ তাই অনেকেই মনে করেন শিব ও নীলাবতীর বিবাহের স্মারক হল 'নীল পুজো৷' 

* নীলষষ্ঠীর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আরও একটি লোক কথা। পুরাকালে এক বামুন আর বামুনী ছিলেন। যারা অতি ভক্তি ভরে নানা ব্রত পালন করলেও তাঁদের সন্তান বেশিদিন বাঁচত না। এরকম ভাবে দিন কাটানোর সময়ে একদিন কাশীর গঙ্গা ঘাটের ওপর বসে দুঃখে দুজনে কাঁদছিলেন তারা। এই দেখে মা ষষ্ঠী, বুড়ি বামনীর বেশ ধরে এসে তাদের জিজ্ঞাসা করেন, “তোরা কাঁদছিস কেন?” 

বামুনী তার দুঃখের কথা জানালে, মা ষষ্ঠী প্রশ্ন করেন, “তোরা কি নীল ষষ্ঠী করেছিস?” বামনী উত্তর দেয়, “সে কী মা? কই ও ব্রত তো আমরা জানি না।” তখন মা তাদের বলেন, “সমস্ত চৈত্র মাস সন্ন্যাস করে শিব পুজো করবে, তারপর সংক্রান্তির আগের দিন, সমস্ত দিন উপোষ করে সন্ধে নাগাদ নীলাবতীর পুজো করে নীলকণ্ঠ শিবের ঘরে বাতি জ্বেলে দিয়ে, মা ষষ্ঠীকে প্রণাম করে তবে জল খাবে। ঐ দিনকে ষষ্ঠীর দিন বলে। যারা নীলষষ্ঠী করে তাঁদের ছেলে মেয়ে কখনও অল্প বয়সে মরে না।” 

Advertisement

একথা বলেই বামনী বেশে মা ষষ্ঠী অদৃশ্য হয়ে যায়। এরপর বামুন ও বামনী  ভক্তি ভরে নীলষষ্ঠীর পুজো করেন। এরপর থেকে তাদের ছেলেমেয়ের কোনও অঘটন ঘটেনি। তারা সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকে। এভাবেই শুরু হয় নীলষষ্ঠীর পুজো। 

 

ব্রতের নিয়ম (Rules For Nil Sasthi Vrat)

নীলষষ্ঠীর দিন সারা দিন উপোস করে সন্ধ্যাবেলা শিবের মাথায় জল ঢালতে হয়। এরপর শিবের মাথায় বেলপাতা, ফুল ও একটি ফল ছুঁয়ে রাখতে হয়। অপরাজিতা বা আকন্দ ফুলের মালা পড়িয়ে, সন্তানের নামে একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করতে হয়। 

মনে রাখা জরুরী, উপোস ভাঙার পরও এদিন ফল,সাবু ইত্যাদি ছাড়া ময়দার তৈরি খাবারই খেতে হয়। সন্দক লবণ দিয়ে খাবার খেতে হয়। মনে করা হয় ব্রতের দিন নিষ্ঠা ভাবে উপোস করে, কিছু নিয়ম মানলে ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন দেবাদিদেব।  
 

Read more!
Advertisement
Advertisement