Advertisement

Nil Sasthi 2023: সন্তানের মঙ্গল কামনায় উপোস করেন মায়েরা, জানুন নীলষষ্ঠীর ব্রতের নিয়ম, পুজোর উপকরণ

Nil Sasthi 2023: দেবাদিদেব মহাদেবের মন্দিরগুলিতে ভিড় জমান ভক্তেরা। যাদের বাড়িতে শিবলিঙ্গ আছে, তারা বাড়িতেই আয়োজন করেন পুজোর।     

চড়ক উৎসবের আগের দিন নীলপুজো পালিত হয়চড়ক উৎসবের আগের দিন নীলপুজো পালিত হয়
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 10 Apr 2023,
  • अपडेटेड 1:08 PM IST

গোটা এপ্রিল মাস জুড়ে রয়েছে নানা পুজো- পার্বণ। সামনেই আসছে নীলপুজো বা নীলষষ্ঠী (Nil Sasthi)। প্রায় প্রতি বাড়ির মহিলারাই এদিন সন্তানের মঙ্গল কামনায় ব্রত পালন করেন। দেবাদিদেব মহাদেবের (Lord Shiva) মন্দিরগুলিতে ভিড় জমান ভক্তেরা। যাদের বাড়িতে শিবলিঙ্গ (Shivlinga) আছে, তারা বাড়িতেই আয়োজন করেন পুজোর।     

নীলষষ্ঠীর ২০২৩-র দিনক্ষণ (Nil Sasthi 2023 Date & Time)

সাধারণত চৈত্র সংক্রান্তির আগে অর্থাৎ চড়ক উৎসবের আগের দিন নীলপুজো পালিত হয়। এই বছর ১৩ এপ্রিল অর্থাৎ ২৯ চৈত্র পড়েছে নীল পুজোর তারিখ।  

আরও পড়ুন

নীলষষ্ঠীর ব্রত পালনের নিয়ম (Nil Sasthi Puja Rules) 

নীলষষ্ঠীর দিন সারা দিন উপোস করে সন্ধ্যাবেলা শিবের মাথায় জল ঢালতে হয়। এরপর শিবের মাথায় বেলপাতা, ফুল ও একটি ফল ছুঁয়ে রাখতে হয়। এরপর আকন্দ  বা অপরাজিতার মালা পরিয়ে, সন্তানের নামে একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করার নিয়ম। 

নীলষষ্ঠীতে মূলত সন্তানের কামনায় উপবাস করে থাকেন মহিলারা। মনে রাখা জরুরি, উপোস ভাঙার পরও এদিন ফল,সাবু ইত্যাদি ছাড়া ময়দার তৈরি খাবারই খেতে হয়। এমনকী সন্দক লবণ দিয়ে খাবার খেতে হয়। মনে করা হয় ব্রতের দিন উপোস করে নিষ্ঠা করে কিছু নিয়ম মানলে ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন দেবাদিদেব।  

নীল পুজোর ব্রত পালনের উপকরণ (Ingredients For Nil Pujo) 

গঙ্গামাটি বা শুদ্ধ মাটি, বেল পাতা, গঙ্গা জল, দুধ, দই, ঘি, মধু, কলা, বেল, বেলের কাঁটা ও মহাদেবের পছন্দের কোনও ফুল। 

শিবের পছন্দের ফুল (Lord Shiva Favourite Flower)

বেলপাতা,ধুতুরা, আকন্দ, অপরাজিতা, কলকে প্রভৃতি ফুল শিবের প্রিয় বলে জানা যায়। তবে মহাদেব বেলপাতাতেই সবচেয়ে বেশি তুষ্ট হন।    

নীলষষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত নানা লোক কথা (Mythology Related To Nil Sasthi) 

Advertisement

শিবের অপর নাম নীলকণ্ঠ বা নীল। অনেকে মনে করেন, শিবের সঙ্গে নীলচণ্ডিকা বা নীলাবতী পরমেশ্বরীর বিয়ে উপলক্ষ্যে লৌকিক আচার-অনুষ্ঠান সংঘটিত হয় এদিন। শোনা যায়, দক্ষযজ্ঞে দেহত্যাগের পর সতী পুনরায় নীলধ্বজ রাজার বিল্ববনে আবির্ভূত হন ৷ এরপর রাজা তাকে নিজের মেয়ের মতো করে বড় করে শিবের সঙ্গে ফের বিয়ে দেন ৷ বাসর ঘরে মক্ষিপারূপ ধরে মৃত্যুবরণ করেন তিনি ৷ তা দেখে শোকে রাজা- রানিও প্রাণ বিসর্জন দেন ৷ তাই অনেকেই মনে করেন শিব ও নীলাবতীর বিবাহের স্মারক হল 'নীল পুজো৷' 

নীলষষ্ঠীর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আরও একটি লোক কথা। পুরাকালে এক বামুন আর বামুনী ছিলেন। যারা অতি ভক্তি ভরে নানা ব্রত পালন করলেও তাদের সন্তান বেশিদিন বাঁচত না। এরকম ভাবে দিন কাটানোর সময়ে একদিন কাশীর গঙ্গা ঘাটের ওপর বসে দুঃখে দুজনে কাঁদছিলেন তারা। এই দেখে মা ষষ্ঠী, বুড়ি বামনীর বেশ ধরে এসে তাদের জিজ্ঞাসা করেন, "তোরা কাঁদছিস কেন?" 

বামুনী তার দুঃখের কথা জানালে, মা ষষ্ঠী প্রশ্ন করেন, "তোরা কি নীল ষষ্ঠী করেছিস?" বামনী উত্তর দেয়, "সে কী মা? কই ও ব্রত তো আমরা জানি না।" তখন মা তাদের বলেন, "সমস্ত চৈত্র মাস সন্ন্যাস করে শিব পুজো করবে, তারপর সংক্রান্তির আগের দিন, সমস্ত দিন উপোষ করে সন্ধে নাগাদ নীলাবতীর পুজো করে নীলকণ্ঠ শিবের ঘরে বাতি জ্বেলে দিয়ে, মা ষষ্ঠীকে প্রণাম করে তবে জল খাবে। ঐ দিনকে ষষ্ঠীর দিন বলে। যারা নীলষষ্ঠী করে তাঁদের ছেলে মেয়ে কখনও অল্প বয়সে মরে না।" একথা বলেই বামনী বেশে মা ষষ্ঠী অদৃশ্য হয়ে যায়। এরপর বামুন ও বামনী  ভক্তি ভরে নীলষষ্ঠীর পুজো করেন। এরপর থেকে তাদের ছেলেমেয়ের কোনও অঘটন ঘটেনি। তারা সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকে। এভাবেই শুরু হয় নীলষষ্ঠীর পুজো। 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement