হিন্দু শাস্ত্রে প্রতিটি তিথির নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। তাই প্রতি মাসে দুই পক্ষের একাদশী তিথিতে উপবাস পালন করা হয়। জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী এবার ৩১ মে পড়ছে। ওই দিনে সবচেয়ে বড় নির্জলা একাদশী (Nirjala Ekadashi 2023) উদযাপিত হতে চলেছে। ওই দিনে ভগবান বিষ্ণুর পুজোর রীতি রয়েছে। এর পাশাপাশি ওই দিনে গায়ত্রী জয়ন্তীও পালিত হয়।
ধর্মীয় শাস্ত্র অনুসারে, ওই দিনে উপবাস পালন এবং পদ্ধতিগত ভাবে পুজোপাঠ করলে ব্যক্তির জীবনের সমস্ত দুঃখ ও কষ্ট দূর হয়ে যায়। একাদশী তিথিতে ভগবান বিষ্ণুকে প্রসন্ন করার জন্য অনেক উপায়ের কথা বলা হয়েছে। এই সব উপায় অবলম্বন করলে ঘরে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। আপনিও যদি বিশ্ব প্রভুর আশীর্বাদ পেতে চান, তাহলে নির্জলা একাদশীর দিন এই মূর্তিটি অবশ্যই বাড়িতে আনুন। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো।
নির্জলা একাদশীতে এই মূর্তি বাড়িতে নিয়ে আসুন
১. জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে বাড়িতে কামধেনু গরুর মূর্তি স্থাপন করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এটি বাড়িতে স্থাপন করলে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে বলে বিশ্বাস করা হয়। তাই নির্জলা একাদশীর দিন কামধেনু গাভীর মূর্তি বাড়িতে এনে যথাযথভাবে পুজো করে ঠাকর ঘরে প্রতিষ্ঠা করুন। এরপর নিয়মিত কামধেনু গরুর পুজো করুন।
২. বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, কোনও ব্যক্তি বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে কামধেনু গরুর মূর্তি স্থাপন করলে শুভ ফল পেতে পারেন। কথিত আছে উত্তর-পূর্বে দেব-দেবীর বাস। এতে ঘরে অর্থের আগমন বাড়ে।
৩. জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে বাড়ির মূল দরজায় কামধেনু গরুর মূর্তি স্থাপন করলেও সারা বাড়িতে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার হয়।
৪. জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, আপনি যদি আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যান বা অর্থনৈতিক অবস্থা কঠিন থাকে তাহলে কামধেনুর মূর্তির পরিবর্তে বাড়িতে কামধেনু গরুর ছবি রাখতে পারেন। মনে করা হয় যে কামধেনু গরুতে মা দুর্গা, সম্পদের দেবী লক্ষ্মী এবং বিদ্যার দেবী সরস্বতী বাস করেন।
আরও পড়ুন - এই ৩ ফল মেটাবে দেহের অক্সিজেনের ঘাটতি, বাড়বে ইমিউনিটিও