'ঔঁ' শব্দে সমস্ত সৃষ্টি সমাহিত থাকে। এই ধ্বনি কোনও সংযোগ বা ঘর্ষণ ছাড়া পুরো ব্রহ্মাণ্ডে গুঞ্জিত হতে থাকে।এই ধ্বনি মানুষের শোনার ক্ষমতার অনেক উপরে। কিন্তু যে সমস্ত লোকেরা জ্ঞানের গভীরতায় নেমে এটা অনুভব করতে পারেন, তাঁরা এই চমৎকারী ধ্বনি শুনতে পান।
ওমের মহিমা
ওমের উচ্চারণ ও, উ আর ম। তিন অক্ষর এই মিলে উচ্চারণ হয়। ঈশ্বরের স্বরূপ ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরকে সংযুক্ত করে। এতে রয়েছে ওম শব্দের সৃজন, পালন এবং সংহার একসঙ্গে শামিল রয়েছে। ওম এর সঠিক প্রয়োগে জীবনের সমস্ত সমস্যা দূর করা সম্ভব। ওম এর সঠিক উচ্চারণ এবং জপ করলে ঈশ্বরকে পাওয়া সম্ভব হয়।
এই মন্ত্র এত পবিত্র যে, যে আমাদের ঋষি মুনিরা জপ করতেন। সমস্ত মন্ত্রোচ্চারণের আগেও মজুরি দিয়েছেন। বলা হয় যে ওমের সঙ্গে জড়িত, মন্ত্র শক্তি কয়েক গুণ বেড়ে যায় কিন্তু এটি ঈশ্বরীয় শব্দ। উচ্চারণের জন্য কিছু নিয়ম এবং সাবধানতা রয়েছে।
ওম এর সঠিক উচ্চারণ
ওম এর উচ্চারণ ব্রহ্ম মুহূর্ত অর্থাৎ সন্ধ্যার সময়ে করুন। ওমের পুরো লাভ পাওয়ার জন্য উচ্চারণের সঠিক টেকনিক শিখুন। ওম এর উচ্চারণ করার সময় নিজের মাথার হাড় সোজা রাখতে হবে। উচ্চারণ করার পর ১০ মিনিট পর্যন্ত জল স্পর্শ করবেন না।
ওম এর সঠিক এবং সরল প্রয়োগ
ডান হাতে তুলসির একটা বড় পাতা নিয়ে ওম ১০৮ বার জপ করুন। এরপর স্ত্রীর পান করার জলে সেটি দিয়ে দিন এবং সেই জল তাকে পান করতে দিন। এটি প্রয়োগ করার সময় তামসিক আহার থেকে বাঁচতে হবে। তা বর্জন করতে হবে। এতে উত্তম স্বাস্থ্যের বরদান পাওয়া যায়।
জ্যোতিষের তথ্য অনুযায়ী মনে করা হয় যে ঈশ্বরীয় শক্তি সম্পন্ন ওম এর উচ্চারণ আপনার ঘরে বড় থেকে বড় দোষ দূর করে দেয় এবং বাস্তু দোষ এর কারণে আপনার জীবনে যে সমস্ত জিনিস খারাপ হচ্ছিল, সেটি দূর করে দেয়।
এভাবে পাবেন লাভ
ঘরের দরজার দিকে সিঁদুর দিয়ে স্বস্তিক বানিয়ে দিন। মুখ্য দোরের উপরে ওম লিখুন। ওমের প্রয়োগ মঙ্গলবার দুপুরে করুন। এতে বাস্তুদোষ থেকে লাভ পাওয়া যায়, যদি আপনাকে আর্থিক সমস্যায় বিপদে ফেলতে থাকে বিভ্রান্ত করতে থাকে, তাহলে ওমকারের জপের প্রয়োগে আপনার সিন্দুক ফের ভরে যেতে শুরু করবে।