ভাগ্য ভাল হলে মানুষের জীবন বদলে যায়। আর কপালে না থাকলে শত চেষ্টা করেও ইচ্ছেপূরণ করতে পারেন না কেউ। জন্মের পর থেকেই প্রত্যেকের ভাগ্যের চাকা আপন গতিতে ঘুরতে থাকে। কখনও সুখ আসে, কখনও দু:খ, এ ভাবেই এগিয়ে চলে আমাদের জীবন।
কার কপালে কী রয়েছে, তা জানতে অনেকেই জ্যোতিষীর কাছে যান। জীবনে চলার পথে নানা বাধা-বিপত্তি আসে। সেই সব বাধা সরিয়ে এগোনোর জন্য অনেকে নানা ধরনের রত্ন ধারণ করেন। আবার কেউ হাত দেখান। আমাদের হাতে অসংখ্য রেখা রয়েছে। প্রতিটি রেখার আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। সবার হাতে আবার সব রেখা থাকে না। তাই হাতে কোন রেখা রয়েছে, তা জানা জরুরি। সেই সঙ্গে হাতের রেখা যাচাই করে কোনও ব্যক্তির ভবিষ্যদ্বাণী করা যায়।
ধন রেখা
হাতে এই রেখা থাকা অত্যন্তু শুভ বে মনে করা হয়। তবে সকলের হাতে ধন রেখা থাকে না। আর যাঁদের হাতে এই রেখা থাকে, তাঁরা সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে যান। প্রচুর সম্পদের মালিক হন। হস্তরেখাশাস্ত্র মতে, পুরুষদের বাঁ হাতে থাকে ধন রেখা।
আর মহিলাদের ডান হাতে থাকে এই রেখা। যে সব পুরুষের বাঁ হাতে ধন রেখা থাকে, তাঁরা প্রচুর সম্পত্তির মালিক হন। আর যে সব মহিলার জান হাতে এই রেখা স্পষ্ট ভাবে থাকে, তাঁদের কখনও আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয় না। সুখ, বৈভবে জীবন কাটে।
ভাগ্য রেখা
আমাদের হাতে থাকে ভাগ্য রেখা। মনে করা হয়, যাঁর হাতে এই রেখা গভীর থাকে, তিনি ততই ভাগ্যবান হন। এই রেখা হাতে স্পষ্ট ভাবে থাকলে জাতকের জীবনে সুখ-সম্পদে ভরে ওঠে। সব কাজে সফল হওয়া যায়। কখনও অর্থাভাব হয় না। তবে ভাগ্য রেখা হাল্কা এবং অস্পষ্ট বলে নানা বাধা-বিপত্তির মুখে পড়তে হতে পারে জাতকদের।
এছাড়াও কিছু রেখা রয়েছে
* হস্তরেখা বিদ্যা অনুযায়ী, পুরুষদের ডান হাতে যদি বিয়ের রেখা থেকে আরও ২টি রেখা বেরোয়, তা হলে তাঁর দাম্পত্য জীবনে নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে। এমন রেখা থাকলে বিয়ে বেশিদিন টেকে না।
* যাঁদের হাতে বিয়ের রেখা থেকে আরও একটি রেখা বেরোয়, তাঁরা সাধারণত একাধিক বার বিয়ে করেন। প্রথম বিয়ে ভেঙে যাওয়ার কারণে আবার বিয়ে করেন। তবে এই জাতকদের দ্বিতীয় বিয়েও সুখের হয় না।
* যাঁদের হাতে দু-মুখো বিয়ের রেখা রয়েছে, তাঁরা সম্পর্কে বিশ্বাসী হন না। পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়তে পারেন তাঁরা। একাধিক সম্পর্কে জড়ানোর কারণে জীবনে অশান্তি হতে পারে।