প্রাপ্তি ও মূর্তি নিয়ে বিভিন্ন কথা প্রচলিত রয়েছে। কেউ বলেন, মাটি খুঁড়তে গিয়ে কোদালের ঘা লেগে পেট কেটে গিয়েছিল মূর্তির। আবার কেউ বলেন আগে থেকেই পেট কাটা ছিল তাঁর। যাই হোক না কেন, পেট কাটা থেকেই দেবীর নাম পেটকাটি। পূজিত হন পেটকাটি কালী বা পেটকাটি মাও রূপে। জায়গাটির নামও হয়ে যায় পেটকাটি।
কালো কষ্টিপাথরে তৈরি মূর্তি
কালো কষ্টি পাথরের পেটকাটি কালীর মূর্তি দেখলে দিনের বেলাতেও গা ছমছম করবে। সাড়ে চার ফুট উঁচু কষ্টি পাথর দিয়ে তৈরি পেটকাটি কালীমা। পদ্মের উপর বিরাজমান দেবী। দশভুজা দেবী। তবে খননের সময় তিনটি হাত ভেঙে গেছে তার। বাঁদিকের পাঁচটি হাতে রয়েছে হাতি, ঘন্টা, ছিন্ন নরমুন্ড, নরমুর্তি ও একহাত ভাঙা রয়েছে।মুর্তির পেট কাটা এবং পেটের মধ্যে রয়েছে বিছের ছবি। গলায় ঝুলছে নরমুন্ডের মালা, সারা শরীর সর্পমালায় শোভিত।
পেটকাটি মাও
দেবীর পেট কাটা বলে এই দেবী পেটকাটি মাও নামে পরিচিত এলাকায়। তবে এই মূর্তির বয়স কত তা আজও অজানা। তবে ভক্তিতে কোনও বাঁধ নেই। রোজ দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসেন এই মন্দিরে। কালী পুজোর দিন অসম, নেপাল, ভূটান থেকেও লোকজন আসেন পুজো দিতে। সকলের বিশ্বাস দেবীর কাছে মানত বিফলে যায় না।
শঙ্খ-চক্র-গদা এবং পদ্ম
কালী পুজার সময় প্রথমে এই কষ্টি পাথরের মূর্তিকে পুজা করা হয়। তারপর পাশের মন্দিরে শ্যামা কালী প্রতিমার পুজা করা হয়।প্রচুর পাঁঠা বলি দেওয়া হয় পুজোতে। দেবীর চারটি হাত। শঙ্খ-চক্র-গদা এবং পদ্ম থাকে। মূর্তির মাথার উপরে দুদিকে হাতির লম্বা শুঁড়, নরমুন্ডমালা।
ভক্তের ঢল
প্রতি বছর কালীপুজোর সময় দেবীর পুজো হয় ধুমধাম করে। এলাকার বাসিন্দাদের পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকে অগণিত ভক্ত দেবীর পুজো শামিল হন। সকলে বিশ্বাস প্রার্থনা জানালে তা বিফলে যায় না। শুধু কালীপুজো নয় সারা বছরই অবশ্য পুজো হয় এখানে তবে কালীপুজোর সময়কার প্রথম আলাদা মাত্রা এনে দেয় তবে গত বছর থেকেই করোনা ভক্তদের সমাগম তলানিতে ঠেকেছে প্রথমে সরকারি বিধি নিষেধ এবং তারপর নিষেধ উঠলেও সেই ভাবে ভক্তরা আসছেন না তবে কালি পুজোতে নিশ্চয়ই হবে এমনটাই আশা করছেন মন্দির কমিটি আগে কালীপুজো তিনদিন পর থেকেই মেলার আয়োজন বন্ধ রয়েছে এবার মেলার আয়োজন করা হবে না বলেই তারা জানিয়েছেন।